যে শিশুটিকে তুমি দেখো প্রতিদিন
তোমার টিভি-তে,
ধ্বংসস্তুপের মাঝে হতবাক দৃষ্টিতে
শিশুটি তাকিয়ে ।
গৃহহীন মা'য়ের কোলে
                  ভাঙ্গা কোনো খেলনা হাতে,
অবুঝ সে শিশু কাঁদছে শুধু ক্ষুধার জ্বালাতে ।


একবার ভাবো ? - মেলাতে কি পারো
তোমার আপন শিশুটিকে, ঐ শিশুর সাথে ?
কোন্ সে দানব খেলছে
               এসব নিষ্পাপ শিশুর সাথে ?


হে দানব, তুমি কে ! হে দানব, তুমি কে !


ক্ষেপনাস্ত্র হামলার নির্দেশ দিয়ে
তুমি ঘুমাতে যাও নিশ্চিন্তে ।
তোমার শিশুটি ঘুমায় তোমারই পাশে,
মিষ্টি স্বপ্ন দেখে নিরাপদে ।


আর যুদ্ধের শিশুটি আতঙ্কে জেগে থাকে,
এ কী ভয় এঁকে দিলে তার ছোট্ট বুকে !
দিশেহারা হরিণের মতো সে মা'য়ের বুকে
আশ্রয় খোঁজে, আজ এ কোন্ অভিশাপে ?


যে শিশুটি বড় হবে যুদ্ধের মাঝে,
হয়তো বিকলাঙ্গ, অপ্রকৃতিস্থ শিশু হয়ে ।
মানুষ সৃষ্ট এই অহেতুক হানাহানিতে
স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার অধিকার কেড়ে নিলে ।


হে দানব, তুমি কে ! হে দানব, তুমি কে !


তুমিও ধ্বংস হবে একই অভিশাপে,
দুঃস্বপ্নরা হানা দেবে প্রতিরাতে ।


(০৩.০১.১৯৯৯ - রাত ৩:১০)
(২৭ থেকে ২৯ বছর বয়সে লেখা "আর্চিস এক্সারসাইজ বুক" নামাঙ্কিত খাতা থেকে)