"জুলিয়েট ২৩"

রঞ্জনদা' তুমি দুম করে মরে গেলে আজ!
ইলেকট্রিকের তারে হঠাৎ মৃত‌্যুর সাথে হলো তোমার দেখা;
হতভাগা রঞ্জনদা', জানো তোমার জন্য কাঁদছে আমার সাথে
দিন দুপুরের নিবিড় নীলে লুকিয়ে থাকা লক্ষ কোটি তারা;
কয়েক মুহূর্ত মাত্র হলো; সবাইকে ছেড়ে চলে গেলে;
অথচ অফিস ঘরের শীতলতায় বসে, জুলিয়েটের কথা ভেবে ভেবে,
শোকের সাথে একসাথে আমার হৃদয় কাঁপছে থর থর!
আমি কি মানুষ রঞ্জনদা? নাকি একেই বলে বেঁচে থাকা?

জুলিয়েট, তোমাকে বলছি শোনো, রঞ্জনদা' তুমি শুনলেও লজ্জা নেই;
যখন ক্লিনিকে শেষ দেখা দেখবার আগে জুতো খোলার পর্ব,
তখন চুপিসারে দেখে নিলাম নিরঞ্জন হৃদয়ে, তোমার নগ্ন পদযুগল;
এসময় এরকম মুগ্ধতার, লোভই যদি বলো, কতটা যুক্তিযুক্ত?
বিদেহী রঞ্জনদা' পারলে তুমি ক্ষমা করে দিও।

(১৩.০৫.১৯৯৮)

----------------------------------------------------------------

"জুলিয়েট ২৪"

তুমি যখন সিদ্ধার্থের টেবিলে মাথা ঝুঁকিয়ে গল্প করো,
তখন আমি একটু পুড়ে যাই;
যখন কারো সাথে হাসিতে ভেঙ্গে পড়ো,
তখন সিক্ত হই একটু বেদনায়;
রিসেপশনে অচেনা যুবক যখন বসে থাকে তোমার জন্যে,
পৃথিবী আমার কেঁপে ওঠে,_ মৃদু ভূমিকম্পে;

আমি হেরে যাচ্ছি জুলিয়েট আর তুমি জিতে যাচ্ছো,
এক অবাক শূন্যতায় ডুবে যাচ্ছি আমি আর তুমি হয়তো সুখ পাচ্ছো।

(৩১.০৫.১৯৯৮)