খুশবু,
তোমাকে নিয়ে কি আর কবিতা লিখবো,
তুমিই তো কবিতার মতো কত অনুভবে
সুন্দর ফুটে থাকো সারাটি দিন ;
সে চিত্রকল্প সৃষ্টির শব্দ দক্ষতা ধারণ করে না তো এ অর্বাচীন;


এই যেমন তুমি হঠাৎ বিষন্ণ;
হাতের ভাঁজে মাথা রেখে তোমার বিষন্ণ চোখ দুটো
চলে যায় কখন যে কোন্ সুদূরে পড়ে থাকা নদীর নীরব কিনারে;
যেন তুমি খুঁজে চলেছো একান্তে
যা পাবার কথা ছিল একদিন কিন্তু হারিয়ে গেছে আজ
কোনো অনম্র জীবনের চোরাবালি খানাখন্দে;


আবার ধরো, হঠাৎ আমাকে খুঁজলে, কারো পরোয়া না করে;
তোমার কন্ঠস্বর তখন মধুর মতো মসৃণ প্রেমময় হয়ে ঝরে,
আমার কর্ণ যা করে অকুন্ঠ শ্রবণ;
বিষন্ণ সান্ধ্য বাতাসের মতো তুমি হয়ে ওঠো হঠাৎ স্নেহপ্রবণ;
এগিয়ে দাও এক কাপ কফি অথবা তােমার প্রিয় ফিল্টার মেশিনটির
জল দিয়ে তৈরী এক গ্লাস লেবুর মায়ামাখা শরবত;
তখন তোমাকে বলতে ইচ্ছে হয়, হে অনবদ্য বান্ধবী,
কোথায় ছিলে তুমি ? যদি থাকতে এ জীবনের পথে মগ্ন সঙ্গী
তাহলে ধরাশায়ী হতো খুব এ জীবনে আরো কিছু অনতিক্রম্য পর্বত;


তারপর সেদিনের সে পিকনিকে, তুমি ছিলে যেন
স্রষ্টার সৃষ্ট নিখুঁত এক নীল প্রজাপতি;
তােমার নীল দুটো পেলব ডানায় লেগে নেই এতটুকু দুঃখের শিশির,
শুধু উজ্জ্বল ঝর্ণার মতো লুটিয়ে পড়ছো, ছুটছো
চঞ্চল খুশিতে ঝাঁপ দেয়া মাতোয়ারা আনন্দের এক চুরমার প্রবাহে;  


খুশবু,
কি আর কবিতা লিখবো তোমাকে নিয়ে !
মায়াশীল নির্বাসিত রাজকন্যার মতো অপার রহস্যে,
কবিতারা খেলা করে সারাক্ষণ তোমার অবয়বের বর্ণিল অরণ্যে ।


(২৭.০৩.২০২২)