যাই লিখি অথবা যাই বা বলি
যেন খুব ভুল হয়ে যায় !


রূপালি স্নিগ্ধ মনোহর চর জাগে এক পাড়ে,
তো অন্যদিকে ভাঙে নদীর পাড় ভয়াল শব্দ করে ;
জেগে ওঠে উন্মত্ত টাইফুন
কারো না কারো ভাব-সমুদ্রের গোঁয়ার আঙিনা জুড়ে,
তেড়ে এসে গ্রাস করতে চায় অদ্ভুত,
ভুলে যাই এখানে কেউ নই যে নিখুঁত ;
নিজ স্বার্থে লেগে গেলে
ক্ষমা-সদ্ভাব শব্দদের স্বর্গীয় মাহাত্মগুলো
ক্ষণে ক্ষণে কতবার আউড়ে যাবার পরও, সকলেই খেই হারাই !
রামরাজ্য ধ্বংসের মতো ভীষণ ক্ষেপে হয়ে উঠি রাবণ,
কুরুক্ষেত্র না ঘটানো পর্যন্ত শান্ত হয় না যে মন;


"কিছু মানুষকে সবসময় খুশি করতে পারো
এবং সকল মানুষকে কিছু সময়,
তবে সকল মানুষকে খুশি রাখা সকল সময়
উঁহু, কিছুতেই সম্ভবপর নয়"


কারো প্রতি স্নেহ বর্ষণে কেউ হয় কারো কাছে রক্ত গোলাপ,
কিন্তু তখনই ঐ স্নেহবানের স্নেহ দেখে
তার দিকে ফণা তুলে, কেউ হয় শীতল বিষধর সাপ !


বলা হয়, পৃথিবীতে আছে কিছু উত্তম মানুষ,
নবীরাও যাদের একপ্রকারে বলেছেন নিষ্কলঙ্ক নিষ্পাপ;
অথচ শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিদের এই চমৎকার জগতে,
কোনো কিছু লিখলে অথবা বললে, বিস্ময়কর !
সেই কবিরাও পায় না একটি শিশির বিন্দুসম মাফ !
এমনকি কবির বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, কবি নামক কিছু পঙ্কিল পাপ,
তখন তার সমগ্র কবি সত্তার পবিত্র সমৃদ্ধ সবুজ চেতনার ঐ প্রান্তরে,
জ্বলতে থাকে আদিম ও অসভ্য অগ্নির মতো ছারখার  
শুধু গ্লানি আর অনুতাপ ;


কবির কলম অভিমানে রুদ্ধ হতে চায়,
চায় না কুড়োতে অযথা
সুক্ষ্ণ বোধ-জ্ঞান বর্জিত মানবের জাগতিক অভিশাপ।


(২১.০৩.২০২২)


(* শ্রদ্ধেয় কবি প্রনব মজুমদার কে উৎসর্গ। প্রিয় কবির কাছে আমার অভিমান-অভিযোগ এবং যদি আমার কারণে অমর্যাদা, তার জন্য আন্তরিক ক্ষমা প্রার্থনা, তাঁর স্নেহের জন্য সতত শ্রদ্ধা এবং ইন্দ্রনীল কবির ভালোবাসা।)