পাতা কুড়োনি অথবা
কাগজ কুড়োনো টোকাই,
না হয় মিলনের জন্য উত্তেজক বহুগামিতাই,
যদি বা এক ধাপ অশ্লীল করে বলতেই চাই...


আমরা কবিগণ সকলে একদম ঠিক তাই;


যত্র তত্র যেখানে সেখানে
আবার বা কোনো কােনাে ক্ষেত্রে
অধিকারের কণামাত্রও নাই
তবুও যখন যেখানে যেমন
অনুভব-প্রেরণা যা কিছু পাই,
চড়ুই পাখির মতো ফুরুত করে ঠোঁটে তুলে নিয়ে
একের পর এক কবিতা লেখা চাই-ই চাই!


তা বেশ! তবে তারপরে.....


কারোটা হয় অপরূপ,
কারোটা বিভৎস পোড়া ছাই !
কারোটা খুব অশ্লীল বলা যায় অসভ্যতাই,
কারো কারোটা কুলাঙ্গার কারোটা দিগম্বর জাত-পাত নাই,
আবারা কারোটা নাচে বেহুদা ধাই ধাই;


কারো কারো কাব্যিকতা এতই ঐশ্বর্যময়,
বিমুগ্ধ বিমূর্ত হয়ে উঠি আর
চন্দ্রালোকিত নির্জন সমুদ্র জল
অথবা বাতাসের মতো সে স্নিগ্ধতার
সুষমা সর্বাঙ্গে মাখাই;
কারোটা আবার একঘেয়ে অসহ্যকর !
যেন সংসারে কামদেব বা হংসমৈথুনের
জলকেলি আর বিদ্যমান নাই ;


তবুও ফুটপাত-ল্যাম্পপোস্টের গায়ে
এলিয়ে পড়া
পাঁড়-মাতালের মতো,
কবিতার অমৃত-গরলের মিশ্রণ
নির্বিচারে আমরা গলাধঃকরণ করে যাই !


(ভাববেন না!
নিজের কবিতার আবর্জনার দিকেও তাকাই,
সুগন্ধ ভেবে দুর্গন্ধেই বেনজীর বেহুঁশ থাকে মস্তকটাই !)


(১২.০৩.২০২২)