নদীর সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল সেদিন,
পেয়েছিলাম বন্ধুত্ব নদীর মতন সে নারীরও,
যে নদীকে ভালোবাসে, তার বুকের ভেতরে
লুকিয়ে রাখা এক জলের নীড়ের মতোই;
বলেছিলাম, নিপীড়িত নারী যেমন ভালোবাসে নদীকে;
বললো, নারী তো নিপীড়িতই, তবে এর কি কোনো অর্থ হয় !


দেখালাম আঙুল তুলে,
মেঘনার প্রশস্ত বুক, নেই কুল নেই কিনারা,
দূরে মেঘাচ্ছ্ন্ন আকাশ আর জলের অস্পষ্ট দিগন্ত,
মিলনের এক মরীচিকা সীমানা !
দেখালাম মেঘনার বুকে, পাগলিনির মতন বৃষ্টির চারিদিক ঘুরে ঘুরে
কী সজোর ঝাপটায় ঝরে পড়া, যেন এ সঙ্গমলীলা শেষ হবে না!
আমাদের শহরের ঘাম মুছে নিলো মেঘনা তার নদীর বাতাসে;
জলযানের দুপাশ দিয়ে ফেনায়িত সুশ্, সুশ্ শব্দে
মেঘনাও সারাক্ষণ হাসছে আমাদের সহাস্য আমোদ আড্ডার সাথে সাথে;
ওদিকে মেঘনা একটা চিলকে যেন করে রেখেছে একা !
আর দেখালাম, আগ্রাসী মানবের দল তার জলের অনবদ্য শরীরটি
দখল করা থেকে একদম বিরত হচ্ছে না !
এসবেরও কি কোনো অর্থ হয় ?
ঠিক আছে, তাহলে বরং বলি
নিপীড়িত নারী যেমন ভালোবাসে নিপীড়িত নদী!


এরপর বললাম, দেখো কী সুন্দর এই নদী, মায়াময় জলের মেঘনা,
যদি পড়ে যাই, নিমেষেই গ্রাস করে নেবে, এতটুকু ভাববে না;
বললে, সব সৌন্দর্যই তো গ্রাস করে নেয় !
আমি বললাম, এ গ্রাস, সে গ্রাস নয়, হাঙরের মতন ভক্ষণের হা করা গ্রাস!
এ কথা বলেই থমকে তাকালাম তার মিষ্টি মুখের দিকে,
বলে উঠলাম নিভৃতে হৃদয়ের জল মন্দিরের ঘরে .....
যেমন তোমার কত রকমের সৌন্দর্য
                               গ্রাস করে নিয়েছে আমাকে কত সহজে।


(০৯.০৬.২০২২)