একদিন কবিটি লিখেছিলো একটি বাক্য;
ছেড়ে দিতেই, বাক্যটি
কবির কবিতার খাতার
নিভৃত ম্লান নীড় খুঁজে নিলো না;
বরঞ্চ তা উড়তে লাগলো পাখা মেলে
কেনো যেন একটি সাদা কবুতরের মতন
পাখনার দারুন জেদি ঝাপটায়,
ঈশ্বরের নক্ষত্র খচিত গাঢ় নীল সাত অন্ধকার ভেদ করে
তাঁর সৃষ্টিমুখর অনন্য আঙিনার দিকে;
কবির লেখা কবিতার বাক্যটি
বার্তাবাহী অদম্য সফেদ পায়রার মতন উড়ে যেতে যেতে
হয়ে উঠলো একটি সাধারণ মানুষের কুন্ঠিত প্রার্থনা ।


ব্যস্ত ঈশ্বর, দেখে হয়তো বহুদিন পর বিষন্ণ হলেন,
এবার আর বাতিল করলেন না।


এরপরে মানুষটি বা কবিটির কাছে  
এসে দাঁড়ালো একদিন রৌদ্রোজ্জ্বল পদ্মা,
অন্যদিন বৃষ্টিস্নিগ্ধ অনন্য মেঘনা।
আর কবিটি আরো একটি বাক্য যেমন লিখেছিল
ভাগ্যবিধাতার প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে
"একদিন বন্ধু হবে সে...." দাঁড়ালো সেও এসে,
সেই বিদুষী অনন্যা,
কবিটির আকাঙ্খিত সেই কৃতার্থ রমণীয় ভ্রমনে;
যা ছিল তার বিষন্ণ জীবনে
বিস্তীর্ণ সেই নদীটির জলরাশির মতোই সুখের এক পর্ব,
উপহার দিয়েছিল সে রমণী আর রূপবতী মেঘনা।  


(১০.০৬.২০২২)