একাত্তর বা সাতচল্লিশের আগে
বিজাতীয় পশুরা যখন বাঙালিদের পশ্চাতে
লাগিয়ে রাখতো লাগাতার বৈষম্য আর অত্যাচারের দাবানল...
তখন কবিরা লিখতো যজ্ঞবাজ সব সন্তের মতো
স্বাধীনতা চাই! স্বাধীনতা চাই! স্বাধীনতা চাই !


এরপর যখন পেলাে স্বাধীনতা
পেলো মানচিত্র, পেলো পতাকা,
এবং নিজের স্বজাতীয় একটি স্বদেশ;
তখন যেন বেমালুম সব ভুলে গেলো বেশ ! ভালো লাগে না আর !
ঐ স্বাধীনতার সুস্বাদু লাড্ডু আর সন্দেশ !
এখন লেখে কবিরা জাটাধারী সাধুর মতো ঘোর লাগা  
স্বাধীনতা নাই ! স্বাধীনতা নাই ! স্বাধীনতা নাই !


মনে হয় এরকমই কবিদের স্বভাবটাই
কোনো কিছুতেই তৃপ্তি নাই...
অথবা হয়তো নিখাদ স্বার্থবাজ, শুধু প্রাধান্য তাদের কবিতাই !


স্বাধীনতা যেন ছোকরাদের খেলা ডাংগুলি
সস্তা জনপ্রিয়তার খায়েশে কবিরা
পবিত্র মানচিত্র যে স্বাধীনতা, তাকে পিটিয়ে চলে খামাকাই।


(২৭.০৩.২০২২)


(পবিত্র মানচিত্র স্বাধীনতা আর নাগরিক স্বাধীনতা - দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য লোভাতুর কবিদের বোঝায় কার সাধ্য! নাগরিক স্বাধীনতা হরণ হয় সব দেশেই, তাই বলে সব দেশের কবিরা তার সাথে মিলিয়ে তাদের দেশের পবিত্র মানচিত্র স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করে না! যারা করে তারা হলো নির্বোধ কবি। নাগরিক স্বাধীনতা হরণকারী দুঃশাসককে নির্দিষ্ট করে কবিতা লেখা শিখতে হবে, পবিত্র মানচিত্র স্বাধীনতার অতুলনীয় অর্জনকে বিন্দুমাত্র অসম্মান না করে।)