এ পৃথিবী জুড়ে বহু মানুষের জীবনে
সমুদ্র একটি চরিত্র ।
গহীন, গভীর, ঘন নীল ও রহস্যময়।
সর্বগ্রাসী, জীবনদায়ী,
স্রোতের সাথে সংগুপ্ত সম্পর্কে
ও সৌন্দর্যের বিভায় হিরন্ময়।


অন্তহীন ভারী জলের প্রান্তর
একিসাথে জাগায় বিস্ময়
এবং হৃদয় কাঁপানো ভয়।


অবলোকনে অনায়াসেই উঠে আসে
সমগ্র শরীরে শিহরণ ।
আত্মাহুতি দেবার মতোন
নানা ক্ষণে নানা বর্ণে অপরূপ ।
একিসাথে মন্ত্রমুগ্ধকর আর মৃত্যু ভয়াল,
কখনো শান্ত ঘুমন্ত
কখনো প্রবল ঢেউ উন্মত্ত
এক ঐশ্বরিক জল-জীবের মতো, দুর্জয়।


অন্যদিকে বহু শহুরে মানুষের জীবনে
শামসুর রাহমান একটি চরিত্র ।
শহরের সাথে সম্পর্কে
রোমান্টিক সফল কবি, কবিত্বময়।
যার হাতে কবিতা ধারণ করে শহর,
শহর ধারণ করে কবিতা,
কত না হাজারো দুঃখ, পরাজয় আর
অশ্রুর মাঝেও
ট্র্যাজেডিক আবহে বেঁচে থাকাটা যেন
সম্ভব হয়, যেন ঠিক অর্থহীন নয়।


অথচ শত রাত্রির প্রার্থনার মতো
আকাঙ্ক্ষা করেও পাইনি সমুদ্র জীবন,
এমনকি হতে পারিনি শহরের
সার্থক প্রেমিক কবি।


শহরের বিষ নিঃশ্বাসে টেনে নিয়ে
চোখে পাথুরে দৃশ্য ধারণ করে
পেয়েছি শুধু তাৎপর্যহীন ক্ষয়  
সমুদ্র অজানা জীবনের অপচয়।


(১৭.০৭.২০২৩)