আমার কবিতা শুনবে বলে,
নিয়ে গেলে পিকনিকে;
অথচ সকালের সূর্যটা দুপুর পেরিয়ে
কী অপূর্ব ম্লান ও স্বর্ণালী হয়ে গেলো শীতলক্ষ্যার বুকে;
আর কোমল ছোট ছোট ঢেউ
ছোট ছোট মাছের মতন মুখ উচু করে
জানালো তাদের গভীর বিষাদ;
তবু তুমি মিশে আছো বান্ধবীদের নাচ ও বিবিধ
আড্ডার মাঝে,
শুনতে পেলে না তোমার অবহেলায়
দু'পৃষ্ঠার মাঝে পাঁচটি প্রেমের কবিতার নিখাদ আর্তনাদ;


আমি কৈবর্ত গ্রামের বিরহী মানুষের মতো
হেঁটে গেলাম শীতলক্ষ্যার ঘাটে;
লঞ্চ-মাস্টারকে সরিয়ে
নিজেই হয়ে উঠলাম আদিম নাবিক !
যেনো এখনই খুঁজে নেবাে মনুষ্য-জনহীন
কিন্তু কবিতাময় নৈসর্গিক কোনো দ্বীপ;
ছড়াবো আমার জিন্সের ব্যাকপকেটে রাখা
পাঁচটি কবিতার অনবদ্য কাব্যিকতা
সেই নিরালা নির্বাসন মগ্নতার চারিদিক;


তুমি খুব মিষ্টি সরল মেয়ে, তোমার কন্ঠস্বরের ধ্বনি
খুব মায়াময় ও আন্তরিক, কোনো অভিনয় তাতে থাকে না;

তবুও শিফা, কখনো আমার কবিতা শুনবে বলে,
আর কোনো উৎসবে আমার কবি মনটি,
ম্লান নদীর নিসঙ্গ চরাচর করে তুলবে না ।


(১০.০৩.২০২২)


উৎসর্গঃ শিফা। কবিতা আসরের বাইরে আমার কবিতার প্রথম মুগ্ধ ও আন্তরিক শ্রোতা! পাঠিকা নয় কেননা আমার বই নেই, সে সাহসও নেই!