তোমাদের খুব মনে পড়বে,
যখন কারো মুখে মিষ্টি কথার দুষ্টুমিদের শুনবো ।
তোমাদের খুব মনে পড়বে,
রেখে গেলে জীবনের যেসব আনন্দ সুর,
আবার যখন একা আমি,
          সেই সুরগুলো আনমনে গুনগুন করবো ।


তোমাদের খুব মনে পড়বে,
যখন ভাববো কেউ কফি আনতো, কেউ বা বানাতো
ভাবতে ভাবতে নিজে এক কাপ কফি ঢালবো ।
তোমাদের খুব মনে পড়বে,
যখন বৃষ্টিরা আসবে, জানালায় কাছে ডাকবে,
"ওরা তো চলে গেছে" কিছুটা দুঃখ নিয়ে বৃষ্টিদের বলবো।


তোমাদের খুব মনে পড়বে,
যখন কেউ কবিতা শুনবার জ্বালাতন
                            মিষ্টি হাসিতে মেনে নেবে ।
যখন কেউ অপূর্ব স্নেহে বেড়ে দেবে প্রাতঃরাশ
যৌথ বন্ধুত্বের খাবার সমাগম থেকে।  
তোমাদের খুব মনে পড়বে,
যখন দুপুর ডালে পাখিদের দেখবো একটুখানি ঘুমিয়ে নিচ্ছে,
আমি তখন আরো নীরব হবো।
তোমাদের খুব মনে পড়বে,
যখন দেখবো বাতাসে পর্দার খুব মাতামাতি
খেলতে এসেছে ওরা তোমাদের কালো চুলের সাথে,
আমি তখন বাতাসকে
তোমাদের নতুন জানালার পর্দাগুলোর পথ চিনিয়ে দেবো।


তোমাদের খুব মনে পড়বে,
যখন দেখবো অন্য কোনো বিদ্যাবতীরা
                             গড়ছে কচি হৃদয়দের ভবিষ্যত।
দেখবো যখন বন্ধুত্বে টেবিল ঘিরে গল্প করছে কিছু রমণী,
নির্মল হেসে উঠছে, কখনো ছুঁড়ছে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ
আধুনিক জীবনেও আছে যেসব অদ্ভুত অন্ধকার গতিপথ।


তোমাদের খুব মনে পড়বে,
যখন শুনবো কোনো নির্জন নৈসর্গে কিছু রমণীরা বেড়াতে গেছে,
তারপর তাদের হাস্যমুখর সুখের অনন্য ছবিরা
                                 দেয়ালে দেয়ালে ছড়িয়ে গেছে ।


তোমাদের খুব মনে পড়বে,
যখন দেখবো কোনো নিমগ্ন ভুবনে
জ্যোস্নার আলোর মতো স্নিগ্ধ কিছু রমণীরা এসেছে,
আনন্দ বন্ধুত্বে কিছু সমৃদ্ধ সময় সৃষ্টি করে
অন্য কোনো ভুবনে আলো ছড়িয়ে দিতে চলে যাচ্ছে।


যেমন তোমাদের পেয়েছিলাম একদিন
কোনো এক নক্ষত্রের রহস্যময় আশির্বাদের সৌভাগ্যে।


(২৬.০৫.২০২২)