কখনো আমি জানিনি আগে
তোমার একটি নীল আকাশের পোশাক আছে
আছে যে একটি সাদা মেঘের ওড়না;
দূর থেকে চমকে ওঠার মতো সে সাদা-নীল
তোমাকে করেছে আজ কচি-ঘাসের কিশোরী কন্যা!
ঠোঁটে যেন নিয়েছো খয়েরি ডালিয়ার থেকে রঙ
আর টিপের রঙটিও ছিল অনন্য তেমন;


সুমিষ্ট রমণী বলো, হঠাৎ সাজলে কেনো এমন ?
বলেছিলে তো থামাও, তবে কি আবার চাইছো এখন
নীলাদ্রীর মতো স্থির অনুরাগে ভরা আমার কষ্টের কবিতাদের গুঞ্জন ?
তবে কেনো অবকাশে হারাবে, বললে বাঙালি বৃষ্টিকন্যা হবে,
পাহাড়ের কোনো এক বারান্দায় বসে শুধু বৃষ্টিদের ঝরে পড়া দেখবে  ?
অথচ একিসঙ্গে কেনো আমার হৃদয়কেও হরণ করে রেখে পালাবে
যেখানে আছে ঐ উঁচুতে বৃষ্টিদের মেঘ-পাহাড়ের ভুবন !
সুপ্রিয় রমণী, মনে পড়বে কি তোমার বৃষ্টির পাহাড়ে আমাকে তখন?
তুমি কি চাইছো, জন্ম থেকে জ্বলা আমাদের দু'জনের এ শহরে
তুমি থাকবে না কিছুটা সময় যখন, সাদা-নীল পোশাকের এ স্মৃতিচিত্রে
তাহলে কি দেখতে থাকবে আকাশ, দেখতে থাকবে শুধু সাদা মেঘ,
তোমার হৃদয় সিদ্ধান্তের এই দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবসানের অপেক্ষায়
একটি কবির দুঃখক্রান্ত অধীর মন ?


(২৬.০৫.২০২২)