মগ-ফিরিঙ্গি দস্যুদের তাণ্ডবে মৃত্যু হেসে যায় অর্ণবপোতের তলায়  
আছরে পড়া লোনা জলের ছলৎ ছলৎ শব্দের খেলায়।  
একের পর এক বেলাভূমি করে জন শূন্য লুটের স্বর্গরাজ্যে,
মৃত্যুর জাহাজ নোঙ্গর ফেলে ডর ভয়ের কাছে জিম্মি থাকা    
ক্রীতদাসের শরীর থেকে চুইয়ে পড়া লাল রঙ্গের লোনা জলের গভীরে।    
বঙ্গের সহস্র- হাজার নর নারীকে করে বন্দী ঐ জলবার পাটাতনে  
দুই হাত পা ছিদ্র করে বেতের দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে রেখে নিয়ে যেত
কসাইয়ের হাতে বাঁধা মুরগীর ন্যায় প্রাত-সন্ধায় কাঁচা চাল ছুড়ে দিয়ে,  
সম্পদের পাহাড় গড়ে মগ-ফিরিঙ্গিরা লাশের স্তূপ মাড়িয়ে ।
“এইটা মগের মুল্লুক, যার যা খুশি কর, যাকে ইচ্ছা ধর যাকে ইচ্ছা মার,
যে রমণী ইচ্ছে ভোগ কর সবই তো আমাদের, নবাব খানজাদ তো
করিয়াছে পলায়ন  রাজমহলে বঙ্গকে করিয়া পঙ্গু  মগদের কবলে”।

শত বছর পরে আবারো কানে বাজে মগ জল দস্যুদের অট্টহাসি অন্য এক রূপে,  
বাতাসে ভেসে আসে ক্ষমতার লোভির সেই দুর্গন্ধে ভরা মুখের অকথ্য উক্তি...
“যার যা খুশি তা কর, যাকে খুশি তাকে গুম কর যাকে খুশি মার,
যাকে খুশি ভোগ কর,যাকে খুশি পেট্রল বোমায় জ্যান্ত পুড়িয়ে মার,  
এটাইতো মগের মুল্লুক,আমার বাপ,দাদা,স্বামীর কেনা মুল্লুকে আমরা রাজা  
আমরা রানী এবং আমরাই থাকবো চিরকাল আবার ও এই মগের মুল্লুকে”।


এখনো সম্পদের পাহাড় গড়ে ঐ রক্ত চুষার দল লাশের উপর বসে
এখনো ক্রীতদাস বানায় ছলের কৌশলে জনগনের ঘাড়ে ঘোড়ার জিন চরিয়ে।
দেশ যে চলছে উল্টো রথে  ইতিহাসের পাতা উল্টে শাসনের নামে শোষণ করে
একের পর এক বেশ ধরে একের পর এক নতুন নামে এই মগের মুল্লুকে।    


১৭/০৩/২০১৫ইং
টোলামোর
আয়ারল্যান্ড