জাহাজের পাল ছিড়ে যায় ঝড়ের প্রবল গ্রাসে -জাহাজীর ভেজা চোখ
চেয়ে থাকে ভাঙ্গা মাস্তুলের পানে  -ছলত ছলত সাগরের লোনা জল
আর জাহাজীর লোনা জল মিশে গেছে হতাশার প্লাবনের চক্র বৃত্তে ।
ছেঁড়া পালে আছড়ে পরছে সাগরের লোনা জল –বাতাসের ঘূর্ণি পাকে
উড়ে যায় শেষ আলোর মশাল-নোঙরের শিকল আঁকরে ধরে আছে
এক রাশ মরীচিকা আর অমাবস্যার রাত–বিজলীর চাবুক চলে,  
উত্তাল জলনিধির বুকে ডুবে যেতে থাকা অর্ণবপোতের নড়বড়ে
গুণবৃক্ষে বাঁধা ছেঁড়া ফাড়া ঝণ্ডার উপর–আলেয়ার মত মরীচিকা
চোখ অন্ধ করে দেয় যুদ্ধাহত নাবিকের -নাবিক দিশা হারিয়ে আজ    
অথৈ সাগরের মাঝে হারিয়ে যায় গোলোক ধাঁধাঁর নিগূঢ় ঘূর্ণিপাকে।


কে ঐ  তরুণ দাঁড়িয়ে আছে দৃঢ় চিত্তে দূর বাতি ঘরের ঐ ধ্বংস স্তূপে,
জোনাকির আলোর মতন মৃদু নিভু প্রায় আলোর মশাল জ্বেলে এই  
অভিশপ্ত রাতে একাকি অদম্য সাহসে- জাহাজী হাল ধর শক্ত হাতে
ঐ’যে দেখ আলোর মশাল জ্বলে অরুণের মত নব তরুনের হাতে ।


টোলামোর,আয়ারল্যান্ড
১৬/১২/২০১৬ইং