আমি যখন সিটি পার্কে,তখন ঠিক দুুপুর।
কাঠ-ফাটা রৌদ্রের মধ্যে বসে আছি,
কোন এক নির্জন প্রান্তরে।
রৌদ্রের প্রখরতায় বালুকণাগুলো
মুক্তার মতো চকচক করছে।


চারদিকে কেবল বাতাসের শু-শু শব্দই শোনা যাচ্ছিল,
বাতাস যেন তার গতিময়তা হারিয়ে ফেলেছে,
ছুটছে তার নিজস্ব গতিতে,
চলছে ছন্দে ছন্দে,
মনে হচ্ছে যেন,বাতাস আজ খুশিতে আত্নহারা হয়ে
নিত্য পরিবেশন করছে।


ঠিক তারই মাঝখানে শুনতে পেলাম,
আর্তনাদ,চিৎকার-চেচাঁমেচি
ভেবেছিলাম মনের ভুল হয়তবা
কিন্ত চিৎকার-চেচঁমেচি ক্রমশই বাড়তে থাকল,
ঠিক তারই পরক্ষনে জানতে পারলাম,
এই চিৎকার চেচাঁমেচি কোন পাখির নয়,
এই আর্তনাদ কোন কুকুরের নয়,
এই চিৎকার-চেচাঁমেচি ছিল এক
অনাথ পথশিশুর,
এই আর্তনাদ ছিল পরিবারবিহীন
এক অবুঝ শিশুর,
এই আর্তনাদ ছিল বস্ত্রহীন এক পথশিশুর।


চারদিকে হাহাকার,
তার অপরাধ ছিল,
একটু অন্ন-বস্ত্রেরর জন্য
এক বাবু সাহেবের পায়ে পড়া।


বাস্তবতার এ কী নির্মম পরিহাস,
বাবু সাহেব তাকে সাহায্য-সহযোগিতা না করে,
করেছেন হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা।
তার রক্তে ভেসে গিয়েছিল,
পুরো রাস্তা,
বালুগুলো রক্তের রং ধারন করেছে,
কি ভয়ানক সেই দৃশ্য,
চারদিকে হাহাকার, চিৎকার-চেচাঁমেচি।


এ কী সামন্তবাদেরর নির্মম রূপ,
কোথায় গেল মানবতা?
মানুষ আজ পরিণত হয়েছে অমানুষে,
মুসলিমরা করছে কাফেরদের অনুকরণ।
তবে কি এসে গেল সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ 'জাহিলি যুগ'?।


হয়তবা কথাগুলো রয়ে যাবে অগোচরে,
কিন্ত প্রশ্নগুলো থেকে যাবে বিশ্ববিকেবের কাছে?