হে যুবক,
তুমি মদ, গাঁজা, হিরোইন সেবন করছ!
মনের ভিতর অনেক জ্বালা তোমার!
অনেক কষ্ট তোমার!
সজ্ঞানে-অজ্ঞানে -
তিলে তিলে নিজেকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছ!
তোমাকেই বলছি-
এসো আমার কবিতার আসরে,
এসো আমার সাহিত্য ভূবনে,
মনের জ্বালা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
হাতে কলম ধরো-
হৃদয়ের আবেগ-অনুভূতিগুলো,
কলমের ডগা দিয়ে বের করে নিয়ে এস-
সাহিত্যের ভাষা দিয়ে,
সৃষ্টি হবে একটি সরস সাহিত্যকর্ম-
মনেও প্রশান্তি মিলবে।
মদ, গাঁজা, হিরোইন- পাবে যত নেশার সামগ্রী
ছুড়েঁ মারো ডাস্টবিনে,
বেড়িয়ে এসো এ অসভ্য জগৎ হতে,
নেশা কখনও সুখ দেয় না- কেড়ে নেয়।
তুমি চিরতরে চলে এসো- এ সঙ্গ ছেড়ে,
যুদ্ধ ঘোষণা কর এদের বিরুদ্ধে।
হে যুবক, শুন-
তোমার জ্বালাময়ী স্মৃতির ভান্ডার থেকে
লিখে ফেল কষ্টের অনুভূতিগুলো।
তোমার নষ্ট অতীতের দূর্গন্ধ গোছাতে-
আমি তোমায় সাহিত্যের সু-ঘ্রাণ দিব।
যার নির্যাস-
তোমার মনের ব্যাধি দূর করবে,
সুখ দেবে,
আনন্দ দেবে,
আমি তোমায় সাহিত্যের সাগরে হারাতে দিব,
তাতে অবাধ বিচরণের সুযোগ দিব।
এসো হে বন্ধু, সাহিত্য ভূবনে-
ডুবে থাকো এ রঙ্গভূবনে,
খেলে যাও আপন মনে।


লিখে যাও আপন খেয়ালে আপনার মত,
ক্ষতি নেই-
জানিয়ে দাও সবারে আজ-
যত তোমার দুঃখ-কষ্ট,ক্লেদ-ভালবাসা
রেখে যাও পদচিহ্ণ তোমার,মানবতার দরবারে,
নেশার স্মৃতি আজ পাক সেথা লাজ।
এসো হে তরুণ,
সাহিত্যের রস নিতে এসো,
সাহিত্যের স্বাদ,গন্ধ নিতে এসো,
এসো সাহিত্যের নির্যাস নিতে,
এসো অসভ্য সমাজ ত্যাগের মন্ত্র নিতে,
আজি তোমারি জন্য সভ্য সমাজ অপেক্ষাতে... ..
এসো,হে নবীন আমার-
ন্যায় ও সত্যের পতাকার নিচ থেকে
কলম চালাই অমানবতার বিরুদ্ধে,
ইভটিজিং,অত্যাচার,নির্যাতন,জুলুমের বিরুদ্ধে,
নেশা,অন্যায়,অবিচার,শোষণের বিরুদ্ধে।
এসো,হে সুহৃদ,
আমার কলম সঙ্গী হও,
এসো আরেক বার রুখে দাড়াঁই-
সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে,
সকল অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে-
একাত্তরের মতো-
বায়ান্ন'র মতো।
এসো,তুমি-আমি-সবে মিলে গড়ি-
পুজিঁবাদ ও শোষণমুক্ত- সাম্যবাদের সমাজ,
গড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের কাঙ্খিত স্বাধীন রাষ্ট্র।
হে যুবক,এ আমার উদ্বাত্ব আহ্বান-
এসো,মোর আলোর মিছিলে,
ফিরে এসো অন্ধকার জগৎ হতে-
ফিরে এসো,ও জীবন থেকে-
তোমারি জন্য সভ্য সমাজ অপেক্ষাতে... .. ।


                 @@@


কবিতাটি কবি নিজে সম্পাদিত মোহিনী পত্রিকার ১ম বর্ষের ১ম সংখ্যায় (১৬.১২.১০) প্রকাশিত।