পয়লা বৈশাখে দেখেছি বাবাকে
হালের বলদ নিয়ে যেতে গোয়াল থেকে
জলের কিনারে বৈশাখী গোসল করাতে
লাঙ্গল-জোয়ালের পরশ বুলাতে
বৈশাখী বৃষ্টিতে আধোভেজা মাটির বুকেতে;
মায়ের হাতের রান্না পাচনের ঝোল গিলেছি
নাক চিপে চোখের জল মুছে মুছে
সেই বৈশাখের স্মৃতি মুছে গেছে যৌবনে
রমনার বটমূলে বোমার ধোঁয়ায়!
এই দিনের বৈশাখে হাতি ঘোড়া পেঁচা হাঁটে
পিচঢালা রাজ-পথে ঢাক-ঢোলের তালে তালে
বাহারী রঙের ভূষণে মিছিলে মিছিলে!
বাউল-লোকগানের সুরে সুরে
সব মানুষের প্রাণের উচ্ছ্বাসে;
হাতভরা রেশমী চুড়ি ঠোঁটে রঞ্জনী
বাঙালী ললনার সুডৌল পায়ে
নূপুরের রুনুরুনু সুরে
মাতাল বৈশাখ আসে বাঙলার মাঠে ঘাটে!
বৈশাখ ছিল, বৈশাখ আছে বাঙলার অঙ্গন জুড়ে
আবহমান বাঙলীর সংস্কৃতি কে মুছিতে পারে!!


(সবার জন্য নববর্ষের শুভেচ্ছা থাকল)