পোয়াতি নারীর মত বেড়ে ওঠা
তাজা রোয়াগুলো দু’পায়ে মাড়িয়ে
সুচেতনা , তোমার স্বপ্নের হাত ধরে
একদিন এসেছিলাম
প্রিয় কীর্তনখোলার তীরে
গভীর নির্জনতায় খুব বেশী ধীরে
কম্পিত চরণে বিস্ময়ের ঘোরে !


তোমার দীপিত নীল জোড়াচোখ
ভাদ্রের আকাশ যাহার উপমা ;
পঞ্চমীর রাঙা পূর্নিমা চাঁদের
দীপ্তিভরা সেই স্বপ্নীল চোখ
আমায় দিয়ে ছিল দিশা –
ওপারে সরষে খেত হলুদ সম্ভার
এক নবতর ফসলের দ্বীপ !


তোমার চোখের নীলাভ বিভায়
নধর ঠোঁটের ফাঁকে জমে থাকা
শব্দাবলী পুঁতির মালার মত
সাজায়ে দিবে দিবে বলেই পথ চলি
অন্ধকারে ঢাকা প্রলম্বিত পথ;
এক শস্যহীন ফসলের খেত !


সূচেতনা , এই নির্বোধ মৌতাতে
আর কত দূর নিয়ে যাবে বল ?


সুরেলা পাখির কূজনে ভরা
সোনালী ফসলের এক অনন্য
স্বপ্নীল দ্বীপের আশায় যে যাত্রা
সে হয়তো ভুল , হয়তোবা নয় !


তবুও তোমার চোখের গভীরে
মমতার বীজ বুনে যেতে চাই
সেই নবতর দ্বীপের আশায় ;
যদিও সে এক দূরতর দ্বীপ !