সকাল সূর্য লয়ে সে যে খেলা করে
স্বপ্নের সাজানো বালিয়াড়ি পারে
আঁধার মুছিয়া গেলে
শিশিরের জলে
অথবা দখিনা নরম বাতাসে
আঢ়ুর আবেশে,
ফুল হয়ে কিংবা নদী হয়ে
নদীর মতন মিশে যায় বয়ে
কোনো এক অজানা সাগরে
ঝিকিমিকি রোদের কান্তারে;
শ্মশানে শুয়ে শুয়ে দেখি তার ছায়া
ফুরায়ে গেছে কখন নীল চোখের মায়া!


খেলিতে জানে সে এই খেলা ঢের ভালো
কুয়াশার হাতে রেখে আমার চোখের আলো।
নির্বাক ঢের সময় হয়ে গেছে পার
অপার অপার!
তারপর একদিন কহিলাম তারে-
এমন খেলা খেলিবে কত দিন ধরে?
স্বরোষে কহিল সে-‘ এ ভূবন আমার;
যত খুশি তত খেলিব তাতে কি তোমার?’


নিভে যাওয়া চোখ দু’টো ঘসে ঘসে
দেখিলাম চেয়ে, নীল চোখ পড়ে গেছে খসে
খড়-বিচালির মাঝে
কোনো এক নিশ্চুপ সাঁঝে!


খুঁজিয়া পাই-নাকো আর তাহার ভূবনে
যেই আলো নিয়ে নীল-তারা জেগেছিল রাতের গগনে
চুপে চুপে চলে গেছে সে পূব আকাশে
কোনো এক নতুন আশ্বাসে!


শিলা-নুড়ি-বালুকনা খুব বেশি বাজে;
রুগ্ন বিশ্বাসে ঢের দিন কাটালাম উহাদের মাঝে!
তারপর একদিন কহিলাম তারে খুব বেশি ধীরে-
এ’বার চলি তাহলে তোমার ভূবন ছেড়ে।


নির্লিপ্ত হিম স্বরে
কহিল সে মোরে-
‘আমি বলেছি কি যেতে।‘
বলিল না তবু সে আমাকে থাকিতে
তাহার সাজানো আপন ভূবনে!
ফিরিলাম চুপে আপন মননে
একদা ছিলাম যেইখানে
নির্জন দ্বীপে নিবিড় অরণ্যে!