ডাগর চোখের কোনো এক মায়াবী হরিণী
যে পুরুষ হৃদয়ে একদিন কামনার ঢেঊ
তুলতো, সেই হৃদয় আজ মৃত!
গহীন অরণ্যের ছায়া ভেঙ্গে
চাঁদ আর দেয়না ধরা মাঘীপূর্ণিমায়;
চাঁদেরও বিস্ময়!


উদরের দাহ মাথার তালু গরম করে
নাক দিয়ে ফোঁস ফোঁস করে বের হয়ে যায়!
আমি বিমূঢ়ের মত দেখি-
লাল কাঁকড়ার দল পলির বুকে পায়ের
দাগ ফেলে চলে যায়
শালিকের ঠ্যাঙের মত সরু বিবর্ণ
কিছু আঁচড় পড়ে থাকে পলির বুকে,
জোয়ার একবার এসে তাকে মুছে দিয়ে যায়
ভাটির টানে আবার জেগে ওঠে
অনেক পুরানো দগদগে ক্ষত!
হিজলের ফুল ঝরেছিল বহুবার
মুছিবারে ক্ষত, পারেনি তা;
জোয়ার ভাটার টানে খেলা করে
কাঁকড়ার দাগ আর পচা হিজলের ফুল!


মায়াবী হরিণীর একটা চোখ
কোনো এক গাড়ল নিয়েছে তুলে;
ক্লান্ত পায়ে কাতর হরিণী নিশ্চুপে দাঁড়ায়
জামরুল গাছের ছায়ার নীচে
মরা চাঁদ দেখা দিলে আকাশের কিনারে
ক্ষীণ চাঁদ বুঝেনি তার হৃদয়ের ব্যথা!