বলিলাম তারে নির্জন দুপুরে
হিস হিস হাওয়ার শব্দে
পলেস্তারা খসে পড়া ঢের বেশী পুরানো
প্রেত পুরীর মতন অন্ধকার গুহার ভেতর
বরফের মতন শীতল তবু বেশ ঊষ্ণ
পূজার বেদীতে হাঁটু গেড়ে –
যুগ যুগ ধরে জন্মজন্মান্তে
পৃথিবীর সব আলো মুছে গেলেও আমরা
যুতিবদ্ধ থেকে যাব এখানে এমনি করে !


কাঁপিয়া উঠিল নারী এক
চিরন্তন রমণী !
যন্ত্রণার আর্তনাদের মত
বীণার ছেঁড়া তারের মত
কহিল সে
বিষাদের স্বরে –
‘ আমি নারী আদি ;
ট্রয় নগরী এসিরিয়া শ্যাম
অথবা ভূমধ্যসাগরের
উপকূল বাসীনিন আমি ;
এখানে আমাকে নয় ,
বসরা তুরান অথবা ইরানী
গুলবাগিচায় নয় ;


অনুজ্জ্বল স্বপনীল আলোর ভেতর
রক্ত উদ্দামকরা সুরের মূর্ছনায়
রমণীর দেহের গন্ধ ছড়ানো
ডায়াসে পাবে আমায় ‘ !