পৃথিবী তখন মূর্খতার গভীর আঁধারে নিমজ্জিত
মহান জ্যোতির্ময় একটা নক্ষত্র নেমে এলো
আকাশ থেকে পৃথিবীর মাটিতে,
ধরিত্রী অমিত খুশিতে পুলকিত!
ধীরে ধীরে মূর্খতার আঁধার হ’ল দূরভীত
মানুষ মানুষকে চিনিল জানিল
বুঝিল মানুষের স্রষ্টাকে;
পৃথিবী মনুষ্যত্বের আলোয়ে উদ্ভাসিত!
জাহিলিয়াতের হ’ল অবসান!
জ্যোতির্ময় আলোর পরশে
সৃষ্টি হ’ল বহু আলোকময় তারকার!
মানবতার চরম উৎকর্ষ সাধন শেষে
মহান নক্ষত্র বিধান মেনে চলে গেলেন
রেখে তাঁর তারকারাজি পৃথিবীর বুকে!
তারকারা তাঁদের দ্যুতি ছড়িয়ে দিলেন
প্রায় আধেক পৃথিবী জুড়ে
তারপর আস্তে আস্তে দু’একটা দু’একটা
করে হারিয়ে যাচ্ছেন অনন্তের পথে!


হঠাৎ আলোকিত আকাশে ভয়ঙ্কর
অভাবিত এক কালো মেঘের আবির্ভাব,
বীরদর্পে ছুটে এলো তারকারা প্রতিরোধে।
ফোরাত নদীর তীরে মরুবুকে বহে রক্তবন্যা
অবরুদ্ধ নারী ও শিশু হিংস্র জানোয়ারের আস্তরণে!
ক্ষুধা পিপাসায় কাতর তবুও অনড় তাঁরা
অন্যায়ের প্রতিবাদে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায়!
বীর সেনানী পতিত ধুলায় কাতর ক্লান্তিতে
নির্দয় পাপী সীমার বুকে চেপে বসে
চালায় খঞ্জর বীর সেনানীর গলে
কাঁদে পৃথিবী কাঁদে মানবতা!