সিয়াম সাধনা শেষে
ক্লান্ত নামুষের শীর্ণ দৃষ্টি
খুঁজে ফিরে পশ্চিম ভালে
কাল মেঘে ঢাকা আকাশের বুকে
এক টুকরো শান্তির প্রতীক
এক ফালি রুপালী চাঁদ
ক্ষয়িত গণিকার অবয়বের মতন
এক ফালি চাঁদ !
ঐ এক টুকরো চাঁদে আছে কী আনন্দ উচ্ছ্বাস ?
ছিল কি কোনও কালে ?
হয়তো বা ছিল ।
সে এক ঢের অতীত কথা !
তবুও নারী-পুরুষ ও তাদের সন্তানেরা
এখনও খুঁজে ফেরে আকাশের বুকে
শাওয়ালের বারতা বাহী
এক চিলতে করুণ চাঁদ !


সে কী বড় প্রথা সিদ্ধ নয় !


হায় শাওয়ালের চাঁদ এখনও মানুষ
তার নগ্ন হাতে জানায় স্বাগতম ;
জানায় স্তুতি দু’হাত তুলিয়া
ঘোর অন্ধকারে !


সেই বুড়ী চাঁদ কবে মরে গেছে
তবুও এখনো ভাবি মোরা
নীল গগনে অবগাহিয়া নব চাঁদ
বহিয়া আনিবে খুশির বান
এই ধুলির ধরায় !
সে কি বহিয়া আনে ?
আথবা বহিয়া আনিতে কী পারে –
যেখানে রয়েছে বিশাল কালো হাত
যে হাতের থাবায় আবদ্ধ
পৃথিবীর সব রূপ রস আনন্দ উচ্ছ্বাস !


পৌরাণিক কাহিনীর মত
আমাদের কানে এখনও
কেন বয়ে যায় বাণী ?
আমরা মানুষ
মানুষের কাছে হয়ে আছি
এক নির্বোধ প্রাণী !


এই সব পুতপার্বণ মানুষের জন্য
বয়ে আনে কতটুকু কল্যান ?


হায় মাহেরমজান !
হায় ঈদ !
তোমাকে ঘিরিয়া কার চোখে
খেলে যায় আনন্দ উচ্ছ্বাস ?
উলটো স্রোত বয়ে যায়
এই পৃথিবীতে আজ ।
সাধারণ মানুষের চেতনা হাত পা
হয়ে যায় অচল অবশ
বৈষয়িক জীবন হয়ে উঠে দুর্বহ
এই সব পুতপার্বণে !
মানুষের হিংস্র থাবায় ক্ষত বিক্ষত
মানুষেরই শান্তি সুখ প্রেম ভালোবাসা
আনন্দ উচ্ছ্বাস চেতনা বিশ্বাস,
মানুষের কাছে বন্দী মানুষেরই জীবন !