চাঁদ দেখার স্বপ্ন নিয়ে জেগেছিলাম
দীর্ঘ ঘুমের ভিতর একটা নিটোল গোল চাঁদ !


পূব আঙ্গিনায় বসে সুই-সুতো লয়ে সরু সরু হাতে
ভূইচাঁপার মতন নরম আঙ্গুলে বাংলার কিশোরি এক
কী ছবি আঁকিছে সে টুকরো টুকরো কাপড়ের’পরে ,
নিমগ্ন চেতনা তার নারিকেল বীথিছায়া
মুছে দিয়ে জোনাকি পোকার মত শিশিরের সাথে
ঘুম ঘুম চোখে জেগেছিল
ম্লান তারাদের মাঝে মাঘীপূর্ণিমা রাতে
দেখেছি তাহারে আমি অনিমিখে
চাঁদ দখার স্বপ্ন নিয়ে দীর্ঘ ঘুমের ভিতর
একটা নিটোল গোল চাঁদ !
মুখর সমেয়ের ভিড়ে
পেতলের কলসি কাঁখে অনিমাদের হাস্যকল্লোলে
বিভার নরম মুখ আরক্তিম ভেসে ছিল
ভাদ্রের ভরা জোয়ারের জলে
বহু দিন আমি দেখিয়াছি উহাদের ছায়া
ডিঙ্গায় ভেসে ভেসে মূঢ় মগ্নতায় !
শেফালীর পাশে নিশ্চুপ সময় কেটেছে অনেক ;
ভোরের সূর্যের রঙ মেখে তার মুখে
সেও বসেছিল যোগিনীর মত নিরালোকে
চড়ুই পাখির মত তার হৃদয়ের কথা
কুহকের আলো নিয়ে খেলিছে রুপসার জলে
সরপুঁটি পায়নি টের বুঝেনি তাহা !


কানা বক এক পায়ে দাঁড়ায়েছিল ঠায়
গোধূলি নাগাদ তারপর উড়ে গেল
আকাশ থেকে আকাশে তিমিরের মাঝে
চাঁদের সন্ধানে নিটোল গোল চাঁদ !


সময়ে চাঁদেরও যে ক্ষয় পায়
বুঝেনি হৃদয় !