অগণিত বিভৎ্স লাশ
লাশ থেক উৎসারিত বারুদের গন্ধ
এখনও ছড়াচ্ছে
আমার মায়ের বুক এই শ্যামল বাংলায় !


ও মা! তোর লাখো লাখো সন্তানের রক্তে
মুছে দিতে পারল না বারুদের গন্ধ ;
বুকের মাঝে রাখলে পুষে যক্ষের মতন
চিরন্তন কান্নার ধ্বনি প্রতিধ্বনি
অবরুদ্ধ পাথরফলকে রক্তাক্ষর
স্মৃতির ধারক শহীদমিনার ,
অনির্বান শিখা প্রজ্বলিত বুকের পর !


অপার বিপণ্ণ বিস্ময়ে চেয়ে দেখো –
তোমার গাজী-পাজী ছেলেরা সব আজি
হয়ে গেছে একাকার ;
তোমার বুকের জ্বলন্ত শিখায়
ওরা পুড়ে পুড়ে হয়নিকো সোনা ,
গাহিছে শুধু বিশেষ দিনে
“ এক নদী রক্তের বিনিময় ...”
খেলে টাট্টু খেলা !


হে আমার স্বাধীনতা !


লাল থালার মতন অরুণ খচিত
সবুজ সুতার বুননির টুকরো হে , -
শুধু কী তোমাকে আকাশে ওড়ার জন্য
বাংলার ছেলেরা বুক ছিঁড়েফেড়ে
ঝরিয়ে ছিল রুধির ধারা ,
তপ্ত বুলেটে বিদ্ধ হয়ে
মেখে ছিল বারুদের গন্ধ ?


যে মাটিতে আমার ভাই এর
তাজা কলিজার বীজ থেকে
জন্ম নিল না রক্ত রাঙা গোলাপ ,
ছড়ালোনা পেলব পাপড়িদল
বাতাসে বাতাসে নরম স্নিগ্ধ সুবাস !
যে মাটির বুক চিরে এখনও
বারুদের পচা ঝাঁজালো গন্ধ ছড়ায় ;
সে মাটির সবুজ শ্যামলিমা চাই-না !


চাই একটা যুদ্ধ , আর একটা যুদ্ধ !
যেই যুদ্ধে মুছে যাবে পচা বারুদের গন্ধ ,
লহু পিপাসু রাক্ষুসী বাংলা পুড়ে হবে তামা ;
বাংলার স্তনের বোটা চোষা জীব
তামা খুঁড়ে খুঁড়ে গড়বে এক সোনার বাঙলা
শাশ্বত স্বপ্নের বাঙলা !


( কবিতাটি আগের লেখা , তখনকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে )