তোমার গোলাপী হাতে এক মুঠো শ্বেত
শিশির ভেজা বেলী খেলা করে , গন্ধ ছড়ায়
ভোরের নরম সোনালী আভায়
হলুদ পাতা ঝরানো আমড়া গাছের নীচে ।


এক দুর্দৈবের বিপাকে পড়ে
কতদিন আমি দেখিয়াছি
তোমাকে এমনি খেলায় মত্ত
পাখিরা যখন উড়ে আসে
গাঢ় নিষুতির কোল ছেড়ে
সোনালী ভোরের নরম রোদে ।


তোমার সোহাগী হাতে
এখোনো কী খেলা করে
সেই মুঠো মুঠো বেলী ,
গন্ধ ছড়ায় কী ওরা
পূবাকাশ কুমকুম আবীরে রাঙালে ?


এই খানে এই নির্জন দ্বীপে
আধখানা চাঁদ শাদা কাশবনে
মাকাল লতায় জড়ায়ে নিজেরে
ঝুলে আছে বুনো হলুদ ঝিঙে ফুলের ভিড়ে ।


এখানে সুবাস নেই ,
নেই ভোমরার গুঞ্জরন ;
নিশ্চুপ নির্জন দ্বীপ !
ঘাস ফুল যা-ও কিছু ছিল
তা-ও এক পরাজিত ঘোড়ার পায়ের
গোত্তায় হাজার ক্ষতের দাগ বয়ে আছে !
আহা ! সে কী ক্ষত !


তোমার শুশ্রূষার দু’টি হাত যদি
বুলাতে শরীরে পরম আদোরে
তাহলে হয়তো সেই পরাজিত ঘোড়া
পায়ের গোত্তায় আর করতোনা ক্ষত
নরম নরম সবুজ ঘাস ফুলের বুকে !