আসন্ন প্রসবা গর্ভিনীর মত
যন্ত্রনাক্লিষ্ট এক অবরুদ্ধতায়
আমার শব্দাবলীরা এখন বড় ক্লান্ত ,
নিশ্চুপ অরব বুভুক্ষ মৌন মিছিলে
ধীরপদে রাজপথে !


সুরম্য রাজপ্রাসাদ ঘিরে
ঈশ্বরের দেবদূতেরা বসে আছে
প্রবল-প্রচন্ড দাপটে ;
কটিতে মেখলা ,
হাতের মুঠোয়ে এক বিশেষ শক্তির
প্রমত্ততা আছে বলে –
মহীরূহে ভোরের আলো
লেপটে থাকার মত
ঈশ্বরের শুভ দৃষ্টি ওখানে নিবদ্ধ !


কিশোরী শ্যামলীর আলতা রাঙা পায়ে নূপুর বাজে !
বর্ণালীর সমারোহে জলতরঙ্গ খেলা করে
হীরকখচিত রাজপ্রাসাদ ঘিরে থাকা সবুজ জলে !
কিশোরী শ্যামলী হয় ধর্ষিতা !
আবিরের রঙে রাঙা বেনোজলে
ভেসে যায় কী শ্যামলীর গ্লানিমা ?
বেনোজলে ভেসে যাওয়া মানুষের আর্তি
পৌঁছে-না গগনে ?


ঈশ্বরের প্রেমিক ভগবানের অবতার
রাজদন্ড হাতে লিখে ধানবানার গান
বেনোজলে ভেসে যাওয়া
থুড় থুড়ে বুড়ীর তরে ;
ওহ ! কী মজার ব্যাপার !
আর এক কবি পুরুষের প্রার্থনা
সাহসী পুরুষের তরে !


দৃষ্টিহীনকে শাহজাহানের সৃষ্টি
তাজমহল দেখানোর মতন
এই সব ভয়াবহ আরতির
হবে-না কী শেষ ?


মৌন মিছিল একদিন
কোটি কোটি মানুষের চিৎকারে
ফেটে পড়বে বিক্ষোভে ;
হে ভগবানের অবতার , হে দেবদূতেরা ,
সেই দিন তোমাদের এ সাজানো রঙমহল
ধ্বসে যাবে ধূলির ধরায় !