বাবলা শেওড়ার বন ঘিরিয়া অসংখ্য জোনাকিরা
মেতে ওঠে দেওয়ালি উৎসবে আজও আমাদেরই
পাড়া গাঁয়ে সাঁঝের আলো নিভে গেলে ঘোর অন্ধকারে
মনে হয় যেন ওরা প্রতিদিন এক একটা পবিত্র
বড়দিনের গাছ হয়ে যায় আমাদের এই বাঙলায় !


গির্জায় যেমনি করে কোরাসের সুর ঝংকৃত হয়
নারী-পুরুষের কন্ঠে কন্ঠে ঈশ্বরের বন্দনায়
এখানে এই অজপাড়া গাঁয়ে তেমনি করে বেজে ওঠে
কোরাসের সুর অনেক অনেক কচি কচি অনাহারী
শিশুদের কন্ঠে কন্ঠে  অসহায় বাবা-মার দরবারে
করুন আর্তনাদে প্রতিদিন – ভাত দাও মা ভাত দাও !


যেমনি প্রতিবছর তোমরা মোমের আলোয়ে সাজানো
কেক কাটো মহাউৎসবে ইশ্বরের কৃপা ভিক্ষায়
এখানেও তেমনি প্রতিবছর-ই শকুন শকুনিরা
এক মহা উৎসবে মেতে ওঠে পোড়া ফসলের ক্ষেতে
মড়কে মড়া হালেরবলদ অথবা দুধেল গাইর
মৃত শরীর নিয়ে মহান বিধাতার পরম কৃপায় !


হিজল তলাম শেওড়ার  বন আর জোনাকিরা নয়
মাঝরাতে গাঢ়ো অন্ধকারে চিতার চোখের মত
আকাশের তারা আমাকে কেবলি টানে আকাশের পানে ;
এক বিপণ্ণ বিস্ময়ে চেয়ে থাকি ঘোর অন্ধকারে !


বিঃ দ্রঃ - গতকাল সারাদিন-রাত আমার নেটোয়ার্ক অচল ছিল বিধায়
কাহারো পাতায় আসতে পারিনি বলে দূঃখিত এবং ক্ষমা প্রার্থী !