অদূরে ভাসিছে ডিঙ্গা আর একখানি
যাহার গলুইয়ে প্রৌঢ়া রমণী এক
নিমগ্ন সম্মুখে খুলিয়া গ্রন্থ একখানি,
একবার তুলিয়া মুখ বোটেরপানে
বারেক ফিরিয়া আমারপানে কহিল-
‘উপরে দাঁড়ানো মেয়েটি রয়েছে দাঁড়ায়ে
বিমর্ষ আননে ঠিক এই গল্পেরই
নায়িকা বিভা বসুর মত বিমর্ষ বিমূঢ়’;
খেলিল প্রৌঢ়ার ঠোঁটে ক্ষীণ তির্যক হাসি!


সুতীক্ষ্ণ অনুভূতির খোঁচায় আমার বুকে
রক্তক্ষরণ;- যদি দাঁড়াতাম রমণীর পাশে,
পরম আদরে তুলিয়া নিতাম
তাহার হাত দু’খানি আমারই হাতে,
কহিতাম যদি অনেক কথার কথা
তাহলে হতোনা সে বিমর্ষ নায়িকা কোনোও!


ভাসিছি কেবলই আমরা কোনোও এক
অজানার পথে মরালগামিনী বোটে!
আমাদের এই যাত্রা এ কিসের যাত্রা,
আমাদের ক্লান্তি শ্রান্তি বিনাশের
অথবা জীবনের সব ক্লেদ মুছে ফেলার?


নারী ও পুরুষের কণ্ঠে পরম বিশ্বাস-
এ বিশাল সিন্ধু ওপারে বালুকার চরে
অঢেল সুখ খেলিতেছে ঢেউয়ের শিখরে
অথবা নীল সাগরের জলে লুকায়ে আছে
মহা পরম শান্তি উষ্ণ স্রোতধারায়!
আমরা সেখানে পৌঁছে উদম শরীরে
মেখে নেবো সবটুকু সুখের সফেদ ফেনা
অথবা ডুবে নীল সাগরের গভীর জলে
মুছে নেবো জীবনের সব ক্লেদ উষ্ণ স্রোতে!


আহা! কী পরম বিশ্বাস, কী পরম বিশ্বাস;
আমরা তাই ছুটিতেছি সিন্ধু সারস হয়ে
জীবনের সব ক্লেদ গ্লানি মুছিবার তরে
এক অজানার পথে বড় পরম বিশ্বাসে!



                              সমাপ্ত