চৈত্রের মাঝামাঝি
বৃত্তের এইখানে ঠিক এইখানে
দাগ কাটা লাল-হলুদ-সবুজ বর্ণালীর সমাহার;
অনেক দূরত্ব অতিক্রান্ত জীবের মতন
ক্লান্তিতে এইখানে পৃথিবীটা থেমে
একবার তোলপাড় করে সারাটা চেতন!


সুর্যের খরতাপ উপেক্ষি বেলী
কী নির্মম ভাবে স্মৃতিকে করে তছনছ;
ক্লান্তিতে বুজে আসা চোখ দুটো
দুমড়ে মুচড়ে করে রক্তিমাভ,
নাকে সুড়সুড়ি জাগায় হে! সখি,
তোমার বেলী চৈত্রের নিঝুম সন্ধ্যায়-
প্রাতে এবং কাক ঝিমানো দুপুরে!
কী আশ্চর্য! সূর্যের খরতাপে
শিলা যখন গলে যায়, সাগর যখন শুকিয়ে যায়,
সারাটা প্রকৃতি রুক্ষতায় পোড়া পোড়া
তখনো দুঃসাহসিকা খুদে বেলী আসে ধীরে
এবং ক্লান্তিহীন সুবাস ছড়ায়;
আর আমি জানালার গড়াদে রাখিয়া মুখ
চাঁদ-তারা-রবির জন্ম মৃত্যু গুনি
এবং শুকানো মাটির ঘড়ায় শুকিয়ে যাওয়া
সলিতায় সারাটা জৈবীক চেতনা নিঙড়ে
এক ফোঁটা তৈল ঢালি-
সুচারু বিলাস গাছের শিকড়ের রস
এবং সারাটা বৃত্ত ঘুরে ঘুরে
চৈত্রের মাঝামাঝি
ঠিক এই খানে জ্বলে,
ঠিক এই খানে জ্বলে সলিতাটা!