অনুরাধা,
পৃথিবী এখন গাঢ়-গাঢ়তর ঘুমে আচ্ছন্ন,
তুমিও নিশুতির কোলে শান্ত সমাহিত;
এইখানে শুধু এক নিশি প্রহরীর
বাঁশির হুইসলে কাঁপে রাতের নিস্তব্ধতা!


কলি কৃষ্ণ হলে আমিও এখন
বাজাতাম মধুর বাঁশরী!
অনুরাধা, তুমি ঘুমাও;
আমি কলি কৃষ্ণ নই
জাগাবো না কো তোমায়
বাঁশরীর সুরে সুরে!


তুমি কি জানো বা বুঝতে পার
নিদ্রাহীন দু’টি চোখে কতো জ্বালা?
নিশাচর-সেই শুধু জানে
নিদ্রাহীনতায় কী যে সুখ!
নিদ্রাহীনতায় বুঝি আছে সুখ?
হয়তোবা আছে,
তাই এখন তোমার ধ্যানমগ্ন!


কথার ফুলঝুরি দিয়ে
গীতল শব্দাবলীতে তোমায় বাঁধব বলে
কতকাল আমি জেগে আছি
তাকিয়ে রাতের আকাশের পানে!
খুঁজিয়া পাই না, পাই নি তোমাকে;
পারি নাকো আমি, পারি নি তো আমি,-
অনুরাধা, তোমাকে আমার
মনের মাধুরী মিশিয়ে গড়তে আমারই করে!


জাগ্রত প্রহরী হুইসলে আর কতকাল
ভাঙ্গব রাতের নিস্তব্ধতা?