সাগর বালুকাতটে কাহারা পায়ের ছাপ রেখে চলে যায়!
সাগর জোয়ার এসে ধুয়ে নেয় বারে বারে তাহা
নরম পায়ের ছাপ মুছে যায়, যায় নাকি
আমরা পেয়েছি কী কভু তাহার সন্ধান
চিক চিক বালু রোদের ঝিলিক শুধু রোদের ঝিলিক!
কেঁপে কেঁপে ওঠে নোনা জল বুকে তার ফেনা
ওপারে ধূসর ছায়া আর ছায়া যায় নাকো চেনা
আমরা রয়েছি চেয়ে কাহার পানে বিমর্ষ আননে!


বিষণ্ণ ঝাউবন কাঁদে সনসন গভীর নিশীথে;
কাহার নরম হাতের পরশে সে পেয়েছিল প্রাণ,
জানে না সে বসেছিল কোন যুগল তার নিবিড় ছায়
তাহাদের তরে কাঁদে কী তরুর প্রাণ রাতের গভীরে!


নীলের গভীর থেকে উঠে আসে তপনের রাঙামুখ;
সাগর পায়রা মেলে দেয় ডানা স্বকরুণ স্বরে!
নোনা জল ওঠে উথলিয়া সফেদ ফেনা চূড়ায়
ভেঙ্গে পড়ে বার বার প্রলয় গর্জন তুলে;
দিন শেষে গোধূলি বেলায় ছড়ায়ে আবির
টুপ করে ডুবে যায় তপন গহীন নীলে!


বিষাদের ছায়া নেমে আসে ধরণীর’পর;
বিষণ্ণ ঝাউবনের কান্না শুনতে কী পাই,
পাই নাকি! কিংবা বুঝতে কী পারি
কতোটা বিষের নীল সাগরের বুকের গহীনে!


আমরা খুঁজিনাকো আর তাহারে কিংবা করি নাকি
অনুভব খুঁজবার হারিয়ে গিয়েছে যেই ধন
তিমির আঁধারে নীল সাগরের বুকের গহীনে;
কেবল শুনতে পাই বিষাদের সুর মরা করুণ শঙ্খে...