সূর্য যখন ডুবে গেছে পশ্চিমে
হালকা আধাঁর ফুঁড়ে পুরানো মন্দিরের
পিছনে বিভা এসে বলে গেলো
কাল খুব ভোরে বকুল তলায় থেকো
আমি আসবো ।


পূব আকাশ ধবল হতে আমি যথারীতি
বকুল তলায় ;
পাখিরা ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠল
কন্ঠে সুর তুলে পাখা মেলে
উড়ে গেল আকাশ থেকে আকাশে
সূর্য তখন নরম আলো
ছড়ায়ে দেখে নিলো আমাকে ,
নরম আলো এখন আর নরম নয়
আমি বিভার প্রতীক্ষায়;
বিভা এলোনা !


পুনার্বার দ্যাখা হতে শুধালাম
বকুল তলায় আসলেনা কেন ?


‘ বারে আমিতো ভোরে শিউলি তলায়
পূজার ফুল কুড়ালাম
কাল খুব ভোরে তুমি বকুল তলায় থেকো
পাখিরা জেগে ওঠার আগেই
আমি পৌঁছে যাব বকুল তলায়
আর ভুল হবেনা, রাগ করোনা লক্ষ্মীটি’ !


যথারীতি আমি বকুল তলায় পায়চারি করছি
আজও বিভা এলোনা ।


সন্ধ্যায় মন্দিরের পিছনে হাল্কা আঁধারে
দেখাহতে শুধালাম – আজ কেনো এলেনা ?
বিভা বলল সাপের ভয়ে,
ঐযে বাশঁবন ওখানে অনেক সাপ থাকে;
রাগ করনা লক্ষ্মীটি!
কাল ভোরে আমি বকুল তলায় বসে
তোমার জন্য মস্তোবড় মালা গাঁথব
বকুল ফুলের মালা; তুমি এসো কিন্তু  !


আমি বললাম তোকে কোনো দিন আর
বকুল তলায় আসতে হবেনা,
এখন থেকে প্রতিদিন মনসাদেবী আর
শিব পূজায় মগ্ন থাকবি
আর আমি হাস্নাহেনা ঝোপের নিচে
শুয়ে থাকব চুপটিকরে রাতেরবেলা
ফুলের ঘ্রাণে সাপেরা মাতাল হতে
প্রতিরাতে আসে ঝোপের নিচে  ।
জানিস তো – বেহুলা সুন্দরী
লখিন্দরকে বাঁচাতে পারেনি
সাপের ছোবল থেকে !