স্তিমিত প্রদীপের নীচে
স্বপ্নেরা কতো কথা বলেছিল
নিঝুম সন্ধ্যায় অনুচ্চারিত ।
বিশ্বাসের ভিত মূল নড়ে গেছে ।
যেখানে যেমন ছিল
সাজানো সকল শব্দাবলী
ত্রস্ত পদচারনায় বিক্ষিপ্ত ।
স্বপ্নের ভিতর দিয়ে আমি পৌঁছে যেতে চাই
নিষ্প্রদীপ সন্ধ্যায় তোমার সাজানো বাগানে !
একমুঠো রুপালী আলোয়ে
বৃষ্টির হাতধরে পথ চলতে চলতে
আর একটু এগুলেই –
আমার স্বপ্নের স্নিগ্ধ হাতে
ধরতে পারতাম তোমার হাত ,
সরু সরু রক্তিম আঙ্গুল ;
জানালার গড়াদের ফাঁক দিয়ে ঝুলে থাকা
বৃষ্টিভেজা বঙ্কিম ঠোঁটে চুমু...
অথচ ভিজে ঘাসের বুকে
অস্থির পদচারণায় নির্বাক নিশ্চুপ
পরাজিত সৈনিকের মত নির্বাসিত
নির্জন দ্বীপে একাকী
পারি না ছিনিয়ে আনতে আমার
প্রত্যাশার অনিন্দ্য মুখ
সোনালী পিদিম !