সোনামিতা হাতের মুঠয়ে জোনাকি নিয়ে
সাঁঝের বেলায় উল্লাসে পাগল প্রায়
ফিসফিসিয়ে বলে-
‘আমার শেওড়া গাছ হতে ইচ্ছে করে;
মাথা ভরা জোনাকিরা জ্বলবে আর নিভবে
দ্যুতিতে আমায় আলোকমালা পরীর রানী মনে হবে!
তুমি আমার পাশে থাকবে তো?’
বললাম থাকব, আর তোর গাল দু’টো
চুমোয়ে চুমোয়ে রাঙিয়ে দেবো;
সবাই বলবে তুই একটা আলোকময় লাল পরী!
হটাৎ একদিন কী যে হলো
জোনাকিরা সব পালিয়ে গেল!
সোনামিতার বুকে অনেক কষ্ট এখন!
আমায় বুকের ভিতর জড়িয়ে নিয়ে
চুমোয়ে চুমোয়ে ভরিয়ে দিলো,
হাতটা টেনে নিয়ে ভেজা চোখে রাখল;
বল্ল, কথা দাও-
‘আমার ঘরটা ভাঁটফুল আর শটিবনে
সাজিয়ে দিবে শেওড়া গাছের নিচে!
সাঁঝের বেলা জোনাকিরা সব দল বেঁধে
আলো দিবে অনেক অনেক আলো!!’


কিছু বলার আগেই একটা দমকা হাওয়া.........


সোনামিতাকে রাখতে পারি নি......


আমি তার কথা রেখেছি
পুকুর পারে শেওড়া গাছের নিচে
ওর ঘরের চারপাশে ভাঁটফুল
আর শটিবনের বাগান করেছি
জোনাকিরাও রাতভর দীপ জ্বালিয়ে রাখে!


আমার সোনামিতা অনেক অনেক খুশী
নিশ্চিন্তে ঘুমায় লাল গাল নিয়ে!!