সবিতা তোমার করুণ বিষণ্ণ মুখ
শঙ্কিত হরিণীর মত
আতঙ্কের ছায়া মাখা
পৃথিবীর ক্রমাগত অস্থিরতায় !


অসুরের প্রতাপে কম্পিত ধরণী এখন;
নিত্যদিন এইখানে হয় অরণ্য বিনাশ ,
জল-মাটি হয়ে গেছে থুড়থুড়ে বুড়ির মতন
চারিদিকে কেবলি বিষাক্ত নিশ্বাস !
চাঁদসদাগর ডুবে গেছে কালিন্দির পোড়াদহে ,
তিমির আঁধারে ছেয়ে গেছে মহী ;
ভরা এই ধরা আর্তের করুণ চিৎকারে !
সবিতা, তোমার বুকে বাজে কী প্রলয়ের রণ ভেরী ?


কীটেরা উল্লাসে ধ্বংস করে যায়
ফসলের ক্ষেত !
স্তব্ধ কাস্তে
সরু তার দাঁত খসে যায়
চাষাদের হাতে !
কামিনা কামিনানীর রক্তমাংস হাড়
পিষে যায় লোহার চাকায় !


সবিতা , তুমি কি কাঁদো কোনও বিমূঢ়তায় ?


খড়ের স্তুপে আগুন জ্বেলে
তিমির বিনাশী
শিকারীরা সেঁকে নেয়
হরিণের নরম মাংস ,
মদের গ্লাসে ডুবিয়ে নাক
চেটে নেয় কামিনীর দেহ !


লোকালয় জুড়ে
হিংস্র জানোয়ারের দাঁতে ঝরে লোলা ,
আকাশে আকাশে উড়ে
শকুনের ঝাঁক ;
ঈগলের ধারালো নখরে
ফেড়ে যায় কপোতীর বুক !


চেতনা ঝিমায় এখন মুখ থুবড়ে ,
প্রশ্নরা সব নিহত মুখের গহ্বরে ;
কলমটা গিয়েছে হারায়ে
রঙ পেনসিলটাও গাঢ় অন্ধকারে !


সবিতা তোমার বুক জুড়ে’
তিমির আঁধার কেবল এখন ;
শ্বেত কপোত কপোতী
উড়ে নাকো আর পৃথিবীর’পর !