ভালো একটা বাসার খোজে
ভালোবাসার কাছে হাত বাড়িয়েছিল মেয়েটা।
শৈশবের পুতুল পুতুল বিয়ে খেলাটা
কিশোরী বেলায় আরো তিব্র হয়ে উঠেছিল।
সেই মায়ের শাড়ি পরে লুকিয়ে
আয়নায় ঘোমটা দিয়ে নিজেকে দেখা
বিন্দু বিন্দু করে সঙসার সিন্ধু বানানো র নেশায় বুঁদ হয়েছিল সে।
"কেটেছে একেলা বিরহের বেলা আকাশ কুসুমও চয়নে"।


ভালোবাসা জোয়ার হয়ে এসেওছিল
মেয়েটার হাত ধরে।
ভাটা র কাদা এতোটাই গভীর যে
ভালোবাসা হয়ে গেল কর্দমাক্ত।
ঘুড়ি না হয়ে হল ফানুস
সূর্যমুখী না হয়ে হল জ্বলন্ত সূর্য।
"কেটেছে একেলা বিরহের বেলা আকাশকুসুমও চয়নে"।


বড্ডো রাগ হতো; হিংসা হত;ভ্রু কুঁচকে যেত
আদিখ্যেতা করে যারা দাম্পত্য ভালোবাসার নাটুকেপনা শোনাতো তাদের ওপর।
আজ আর হয়না।
বয়সের ভারে পোড় খাওয়া
অভিজ্ঞতা র স্মৃতিরর এলবামের ছবি গুলো আজ হলদেটে।


একাকী পথ চলতে চলতে
নিজের ছায়াকেই মাঝা মাঝা মনে হয়
"কে ও? পিছু নেল কে"?
চুন খসা দেয়ালে নড়বড়ে চেয়ারটায়
ঠেস দিয়ে বসে
দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ টা দেখলে
রবি ঠাকুরকেই শুধু মনে পড়ে
"কেটেছে একেলা বিরহের বেলা আকাশকুসুমও চয়নে"।