আসরে বাসর সাজে মন্তব্যের জোরে,
মন্তব্যেই দেখি কবির মনোভাব ঘুরে।
লিখে লিখে দিন দিন কবি হয়ে যায়,
নিজ মনে আসরের স্বার্থকতা পায়।
ঝুলি ভরে প্রতিদিন পাঠ করে করে,
জ্ঞান বুদ্ধি বৃদ্ধি করে লিখে পাতা ভরে।
পাশাপাশি শুরু করে লিখা ও পাঠ,
সত্য কথা লিখে যায় ঘুরে মাঠঘাট।
লিখা ও পাঠ করাই কবিদের রীতি,
শুভ্রতা আছে কবির নেই ভয় ভীতি।
কতজনই পাঠ করে মন্তব্য দেন না,
বাজে মন্তব্যের ভয়ে মন্তব্য চান না।
নিজেকে ভাবেন তারা একমাত্র কবি,
মনে করেন বাকিদের ভবঘুরে সবি।
ভাবেন সমাজে মানুষ শুধু খায় ঝোল,
তিনি ছাড়া বাকি সব বাতিল তেঁতুল।
মনে শুধু উষ্টাউষ্টির ডামাডোল বাজে,
তার কি ভদ্রবেশী কবি হওয়া সাজে?
কতো ছাইপাশ লিখে বলে এটা কবিতা,
বুঝেনা তো আসলে এটা পায়ের ছাতা।
কত ঘৃণ্য জঘণ্য সে নিজে নিজে সম্রাট,
কবি নামের কলঙ্ক সে উপরে ঠাঁটবাট।
ইবলিশ তবুও থাকে কবিতার পাতায়,
নোংরামি করে জানে না গন্তব্য কোথায়?
ভদ্রতার প্রশিক্ষক নম্রতার চাবিকাঠি,
এটা প্রকৃত কবিকে চেনার মাপকাঠি।
সত্যিকারের জ্ঞানী গুণী যদি হয়ে থাকো,
সদাচরণ করেই তবে আত্মসম্মান রাখো।
এখনো সময় আছে চলে যাও তো দূরে,
হুট করে ঢুকো না আর হুক্কা হুয়া করে।