বাংলার কোলে যত বেলি জবা জুঁই,
আলু শাক লাল শাক কচু মূলা পুঁই।
গরমে কাঁঠাল পাকে শরতের তাল,
শাপলার ফুল ফুটে মাছে ভরা খাল।


কচি পাতা কচি লাউ সাথে তিত পুঁটি,
গম চাল আটা থেকে মজাদার রুটি।
সাগরের কূল জুড়ে শুরু হয় ভাটা,
চেয়ে দেখে ভোরে খাই খেজুরের মাঠা।


লিচু কলা আম জাম কাঁঠালের স্বাদ,
বাংলার কোলে থেকে দেই নাতো বাদ।
চিকন চালের মুড়ি সাথে চিটা গুড়,
গ্রামেগঞ্জে ঘরে ঘরে থাকে ভরপুর।


মিঠা জলে বেশি তাজা পুকুরের মাছ,
সেইসাথে ফলে ভরা জলপাই গাছ।
কাঁঠালের কোষ আর সাথে চিড়ামুড়ি,
ভুঁড়ি ভোজ শেষ করে হাতে নেই ঘুড়ি।


পানের বরজ আর সুপারির বাগান,
হাতে তুলে খেয়ে গাই ভাটিয়ালি গান।
কবিগুরু নজরুল দুই চোখে ভাসে,
আনমনে মেঠোসুর বের হয়ে আসে।


রাঁধুনিরা পাতে দেয় দুধ দই ছানা,
রূপালী চাঁদের আলো রাতে দেয় হানা।
সুখটান মনে উঠে সুর তুলে নাচে,
এমন মধুর দেশ কোথাও কি আছে?


প্রীতিময় বোধ জাগে গুণ আর গানে,
সামাজিক রীতিনীতি দলবেঁধে মানে।
সাগরের উপকূল বাংলাকে ঘিরে,
পরিযায়ী পাখি সব উড়ে আসে নীড়ে।


সারা জগতের মাঝে সেরা এই দেশ,
মাঠ ভরা ধান তার দেখে লাগে বেশ।
মা-মাটির এই দেশ দেখে ফুটে হাসি,
যত দেখি দেশটাকে তত ভালোবাসি।