হঠাত্ একদিন চলার পথে তোমার সাথে হল দেখা,
জানিনা কেন লাগছে কোন এক অন্তহীন পথ পারি দিয়েছি একা একা।
জীবনের চলার পথে এসেছে অজস্র বাধাবিপত্তি,
কিন্তু তোমার সাথে মিলনের চাহিদায় সয়েছি সব আপত্তি।
জীবনের অনেকটা সময় অতীত হয়েছে তোমার কৌতুহলে,
সবধরনের প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, হয়তো তোমাকে পাবো ধরিত্রীর রাঙ্গা চরণতলে।
অপেক্ষায় রয়েছিলাম, হয়তো একদিন দেখা হবে মোদের সেই গলির কোণে,
যেখান থেকে আমি আর তুমি প্রস্তুত হয়েছিলাম জীবনের নতুন পথ চলার সনে ।
আশাবাদী ছিলাম জীবনের সেই পুরনো মুহুর্তগুলকে রঙিন করব মিলনের সন্ধিক্ষণে,
নতুন জৌলুসে ভরে উঠবে নবপ্রান আমাদের পুনরায় মিলনের প্রারম্ভিকলগ্নে।


তোমার সাথে যেদিন হয়েছিল প্রথম দেখা তখন তোমাকে ভালোবেসেছিলাম চিরতর,
কিন্তু একদিন হঠাত্ দেখা হবার পর আমাকে করে দেবেনাতো পর ?
এতদিন আমার শূণ্য হৃদয়ে তুমি হয়েছিলে অমাবস্যার চাঁদ,
মিলনের তীব্র আকাঙ্ক্ষায় ক্ষীণ লাগছে জীবনের দর্পণে জড়ানো সব ফাঁদ।
জীবনে চলার পথে তুমি এসেছিলে যেন মর্ত্যে পাঠানো দূত হয়ে,
জীবনের অর্থটাকে যেন চিনিয়ে দিয়েছিলে খোলা আকাশের নীচে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে।
আমার জীবনে পা বাড়ানোর প্রতিটা ক্ষণে ক্ষণে রয়েছে তোমার ঋণ,
তোমার সতীর্থ ছাড়া জীবনের মানেটাকে লাগছে যেন চিরদুঃখীণ।
জীবনের দরবারে তুমি এসেছিলে যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো,
তোমার অভাবে জীবনের জানালা গুলি লাগছে যেন স্তব্ধ বাতাসের ন্যায় যত।


মনে পরে হাসিঠাট্টা করে কাটানো জীবনের সেই দিনগুলো,
তোমার অভাবে অবান্তর লাগছে জীবনের সেই মুহুর্তগুলো।
তোমার আলতো কেশের ঝাপটা যেন হৃদয়ের গহীনে সৃষ্টি করেছিল উজ্জ্বলতা,
তোমার নিষ্প্রভ নয়নের দীপ্তি মনে সৃষ্টি করেছিল আঙ্গিকতা।
তোমার পথ চেয়ে যেন পারি দিয়েছি হাজার হাজার বছরের দীর্ঘ সময়,
ক্লান্ত পথিকের ন্যায় বসে রয়েছি কবে পূর্ণ হবে মোদের মিলনের তন্ময়।
দিকহীন পথভ্রষ্ট অভিযাত্রীর ন্যায় সময়কে যখন করেছিলাম হাতিয়ার,
যৌবনের পূর্ণলগ্নে পথ চলা শুরু মোদের, কবে গড়ব জীবনের বুনিয়াদ।
মিথ্যের অহংকার বুকে নিয়ে চলা যায়না আর যত,
জীবনের লক্ষ্যগুলিকে কী পূরণ করা যাবে,
হঠাত্ একদিন পথ চলার মাঝে তত ?