তোমার চিঠি পেলে, খুব মনে পড়ত নরম কিছু রেশমি আঙ্গুল,
বাম হাতে লিখো তুমি, আমি আশ্চর্য হই, কিভাবে?
আমার সময় অসময়ের দাবি, তোমার চিঠি,
বুকের ভাজ থেকে এমনভাবে বের কর, যেন কেউ না দেখে,
অক্ষরের মত নীরবভাবে, যেন কেউ না জানে।


কালো  অক্ষরগুলো পড়তে পড়তে দেখেছিলাম,
তোমার নির্ঘুম জেগে থাকা কিছু রাত,
দুটো  জোনাকি কতদূর থেকে উড়ে আসছে,
তোমার কালো চুলের উপর দিয়ে।  
লন্ঠনের হলুদ আলোয় সেই উজ্জ্বল অপরূপ মুখ,
তন্দ্রাচ্ছন্ন নীল আকাশ তোমার দু’টো চোখে,
এরপরও তোমার হাতে জেগে থাকে আলস্য বর্ণমালা।


এখনো আমি চিঠি অপেক্ষায় থাকি,
সকাল দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা,
যাকেই লিখো তুমি,
ভুল করে হলেও আমার নামটা দিও সম্বোদনে,
যার হাতে পাঠাও না কেন,
ভুল করে হলেও খামের উপর আমার নামটা লিখো,
আমার সময় অসময়ের দাবি, তোমার চিঠি,
একটু বুকের গন্ধ, রেশমি আঙ্গুলের ছোঁয়া খুব অনুভব করি।
আকাশকে লিখতে পারো, যদি লিখতে চাও,
রূপোলি জল নুইয়ে নুইয়ে বৃষ্টি নামাবে সমস্ত আকাশ,
তোমার দেয়া নীল খাম হয়তো ভিজে যাবে,
তোমার দেয়া বিরাম চিহ্ন গুলো বিস্মিত হবে,
টুকিটাকি অনেক খবর হয়তো মুছে যাবে,
তবুও আমি জেনে নিব রাত্রি জাগার গল্প।


ইদানিং একলা থাকা আরও একলা লাগে, তাই
আমার সময় অসময়ের দাবি, তোমার চিঠি,
একটু বুকের গন্ধ, রেশমি আঙ্গুলের ছোঁয়া পাঠিয়ে দিও,
মিথ্যা হোক, তবুও সকাল দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা
যন্ত্রণায় অপেক্ষায়,
একলা থাকার অবসান হোক।


আমার সময় অসময়ের দাবি, তোমার চিঠি, আসুক
একটু বুকের গন্ধ আমার নাকের ডগায় লাগুক।