প্রিয় কবি শরীফ আহমাদ মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত কবিতা সুচির জন্য উপহার কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
শৃগালী


সুচির দেশে মরছে মানুষ চিল শকুনের মহাভোজ-
রাখছে সু চি হিসাব তার-মানুষ কত মরলো রোজ।
মানুষ নামে জন্তুটার-হৃদয় ছিলো হায়না-
দৃষ্টি লোচন নয়ন মেলে-দেখনা সু চি আয়না।
শান্তি নোবেল গিলে নিলি-হায়না হৃদয় দিয়ে-
লক্ষ হাজার লোক তাড়ালি-রক্ত আগুন দিয়ে।
তোর মনের ওই কলুষতায়-মধ্য যুগের বইছে লহু-
ইতিহাসের পাতায় পাতায় উদাহরণ এমন বহু।
মানুষ জাতি মানবতা-খুবলে খেলি ওই শৃগালী-
অশান্তির বীজ বপনে-শত শত মানুষ বলি।
জন্তু দানো হিংস্র অতি-ক্ষুদাবৃত্তি নিবারণে-
তুই পাষানী হিংস্র কেন-শান্তি নোবেল ঝুলছে গলে।
এই ধরাতে মানুষ জাতি-চার দিশাতে অধিকার-
বুদ্ধি বল বিবেক বলে মান হুশ দান বিধাতার।
মান তো খেলি হাটবাজারে হুশের বালাই ষাট-
অপদার্থ রাক্ষসি তুই-তোর দেশটা নিপাত যাক।


প্রিয় কবি রীনা তালুকদার মহাশয়ার  আজ  প্রকাশিত   কবিতা "অধ্যাপক নির্মল চৌধুরী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কেরামতি


জীবনটা এমনই অবাক করা ঘটনা দূঘটনায় ভরপুর-
কখনো বা শরৎ এর নীলাকাশ-কখনো বা-
ধূপ ছায়া রোদ্দুর।
মরমে মরেছি গ্লানিতে দুলেছি তুলেছি সাগরে পাল-
জীবন ডালিতে প্রাণ সে খেলিতে-
ধরিতে কঠিন হাল।
বজ্র কঠিন তুফান যবে বেদনা মোহনাতে-
সাগর খেলেছি দুঃখ ভুলেছি-
অবহেলে লহমাতে।
আশাহত প্রাণ দুর্বার দুর্জয় ঝড় ঝাঞ্ঝায় উত্তাল-
কম্পিত প্রাণ ভয়ার্ত অসহায়-
কেঁটে গেছে সুর তাল।
কভু ঘুর্ণিতে কভু পঙ্কেতে কভু দংশণে ক্ষতো-
কতনা অশনি বিদ্যুৎ হানাহানি
শত ফণা উদ্যত।
তারি মাঝে আলোছায়ে অগনিত দিন কাঁটে-
শৈশব কৈশোর তারুণ্য -
আসে পটে।
কত ধ্বনি আশাহত ফিরে চাওয়া লাগে ভালো-
সেদিনের বেদনাতে-যেন পাই-
ঊষা আলো।  
অশ্রুতে সেদিনের ঝলকেতে হীরে মোতি-
যোগ গুন ভাগ দিতে-
বিধাতার কেরামতি।
জীবনটা এমনই অবাক করা ঘটনা দূঘটনায় ভরপুর-
কখনো বা শরৎ এর নীলাকাশ-কখনো বা-
ধূপ ছায়া রোদ্দুর।
মরমে মরেছি গ্লানিতে দুলেছি তুলেছি সাগরে পাল-
জীবন ডালিতে প্রাণ সে খেলিতে-
ধরিতে কঠিন হাল।


প্রিয় কবি অনীক মজুমদারের আজ প্রকাশিত "ঊসুল" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বাহা রে বাহা!


বাহা রে বাহা! সুমিন্দিরি! আসছে রে ঝড়-ঘূর্ণি বায়ু-
সময় মত সটকে পর-
বুঝবি ঠ্যালা এই ব্যালাতে-মটকে দিতে আসছে বর।
নোঙ্গর ফেলে তোর সাগরে-আটকে দেবে জাহাজ রে-
সপ্তা দিন মাস হবে পাড়-এই বারে তুই কাঁদবি রে।
এমন তেমন বর না হয়-দারুন হিসেব করতে জানে-
মাংস খেলি হাড্ডি গুলি-ফেরত নেবেই ঘরের পানে।
আহা! আহা! যখন খেলি মন্ডা মিঠাই-বরের পকেট করতে গড়-
নিংরে নিতে জামাই বাবা-আসছে এবার তোরই ঘর।
পাঁচ পাঁচটা শাড়ি নেওয়া-এই বাজারে হিসেব জানিস-
মাস কয়েকের লাভের ধন-দুই মিনিটেই রত্তি ফিনিস।
ফটিক বারি ফটিক বারি-করবে রে বাপ শ্বশুর বাড়ি-
সমুন্দিরি তেল ভরে রাখ-চকচকা ওই গাড়িগুলি।
দবদবিয়ে চড়বে রে বর-পায়ের ওপর উঠিয়ে পা-
আর যাবেনা আর যাবেনা-যেমন তেমন তারে রোখা।
বাহা রে বাহা!  সুমিন্দিরি! আসছে রে ঝড়-ঘূর্ণি বায়ু-
সময় মত সটকে পর-
বুঝবি ঠ্যালা এই ব্যালাতে-মটকে দিতে আসছে বর।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কথা অমৃত -৭৭ তে উত্তর দিতে কমেন্ট বক্সে একটু আগে লেখা কবিতা।(ফাউ কবিতা)
ধন


মানবতাই মানুষের পরিচয়-
ধন দৌলত শান শওকত প্রিছে পরে রয়...............।
যে ধনী বলে আত্মা বোধিত-
আত্মীয় সে হয়-
ধন নাহিকো হৃদয় বারিতে-পূণ্য সে ধন বয়।
আমির গরীব ফারাক ধনে-
হৃদয় মননে আগে পিছে নাই-
ধন ভুলে যাও হৃদয় তোলো-
অমৃত কথা গাই।