ডেঙ্গু
ঘন্টা দুয়েক কারেন্ট ছিল না। বাইরের কাজ সেরে চেম্বারে আসি তখনও কারেন্ট আসে নাই। অগত্যা বুলবুলিকে ডাকতে হলো। অবশ্য কারেন্ট আসতেই লেখা শেষ করে দেই।


আজ আবার কারেন্ট নাই-বুলবুলি তুই গেলি কই-
খাতাও পেলাম অনেক খুজে-চল আমরা লিখতে রই।
কি লিখবো বল বুলবুল-ভাবনা কিছু দে না ভাই-
রোহিঙ্গা কাল লিখেছি-আজকে কিছু নতুন চাই।
আজ আকাশ রোদ ঝলমল-সূর্যিমামা জ্বলছে দারুন-
গরম তাই বেশ ভালো রে-জীবন এখন দারুন করুণ।
কাব্যগাথার ভাবনা মনে-ডেঙ্গু ঘরে দিলই থাবা-
পথ্য আর তুক তাকেতে-ভাবনা মনে অনেক ভাবা।
ভাবনা গুলি এলোমেলো-ছোট্ট মেয়ে বলল বাবা-
টোপলা হাতে বলছে আমায়-দিদির বাড়ি নিয়ে যাবা।
কি আর করা দিয়েই আসি-দুদিন একটু থাকনা দূরে-
তাও তো ভালো-এদিক সেদিক-ডেঙ্গু এখন আমার ঘরে।
নিলই যদি সখীর প্রাণ-ভাবছি ওদের দেখবে কে!
বল বুলবুল লাগে ভালো-এমন কঠিন ভাবনা রে।
মশক কূলের দবদবানি-রক্ত কত খা না বাবা-
তাই বলে কি এমন রোগ-জ্বরজারি আর ডেঙ্গু দিবা।
আমরা কবি বাসতে ভালো-মশক কূল ও ভালোবাসি-
তাই বলে কি এমন কঠিন-জ্বর জারিতে ঠাসাঠাসি।
শিস কেনো রে বাজাস না বে-মনটি বুঝি খারাপ তোর-
ডেঙ্গুজ্বরে সখী আমার-আঁধার কালো ঘন ঘোর।
কারেন্ট কখন আসবে রে বে-আসরটাকে ধরতে হবে-
বাসরটাতে মন মিলিয়ে-তাও তো মন শান্ত রবে।
ওরে বাবা কি তেজ দিল-সূর্যিমামা-আগুন জ্বালে-
কারেন্ট টাও নাচতে থাকে-তারি সাথে তালে মিলে।
না বুলবুল ভাল্লাগে না-চল পাহাড়ে ঘুরতে চলি-
বাইক নিয়ে ফরফরিয়ে-হাওয়ার সাথে কথা বলি।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত কবিতা আপন ভোলা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কি যে কই!


কি যে কই! কি যে কই-আর তো ভালো মন লাগে না-
আর্ত জনায় কান্না কাটি-
সইতে আর ভাল্লাগে না।
দুনিয়া দারি দানব যখন-আর্তজনের কাড়েই ধন-
রক্ষ পাষাণ-কান্না ঝরে অনেক বুকে-
আর যে ভালো লাগেনা মন।
কি যে কই! কি যে কই-আর তো ভালো মন লাগে না-
আর্ত জনায় কান্না কাটি-
সইতে আর ভাল্লাগে না।
আমরা কবি হই বলীয়ান-পেশীর জোর মসির বাণে-
ঝর ঝরিয়ে লিখতে ব্যথা-
আগুন ঝরা দ্রোহের গানে।
উব্ধে গগন নিম্নে অতল ভূতল সোনার আলোক বারি-
সসাগরা এই ধরাতে-
দুঃখ দুখীর সইতে নারি।
হে ভগবান এমন কেন-দিলেন প্রাণে কষ্ট দারুন-
গড়ছে যারা ফলায় যারা-
দেখতে কঠিন আলোক অরুণ।
সাম্যগান কঠিন অতি-দুষ্ট প্রাণের দুরামতি
গড়তে ধরা গড়তে সমাজ-
এমন তোমার কেরামতি!
কি যে কই! কি যে কই-আর তো ভালো মন লাগে না-
আর্ত জনায় কান্না কাটি-
সইতে আর ভাল্লাগে না।
আমরা কবি হই বলীয়ান-পেশীর জোর মসির বাণে-
ঝর ঝরিয়ে লিখতে ব্যথা-
আগুন ঝরা দ্রোহের গানে।


প্রিয় কবি খসা হক মহাশয়ের আজ আড্ডাতে লেখা কমেন্টের উত্তরে আড্ডাতে আজ লেখা কবিতা।  


ওইতো মজা তিলের খাঁজা


ওইতো মজা তিলের খাঁজা-আলাদিনের প্রদীপ আছে-
যেমন তেমন না হয় সে-আমায় বড় ভালোবাসে।
যেই ভাবনা চট জলদি-ফট করে সে জেগে ওঠে-
আঙ্গুল গুলি তার বশেতে-ঝর ঝরিয়ে ওঠে বসে।
আমার তখন হারিয়ে মন-ভুলিয়ে দিতে জাদুগড়ি-
মনটি বেঁধে রাখতে ধরে-শক্ত করে কষতে দড়ি।
হৃদয় এবং মনটি কাড়ে-ভাবনা কোনো আর দেখিনা-
যেমন চালায় আঙ্গুল গুলি-লাঙ্গল তুলি-আর জমানা।
শব্দ কলি উড়ে উড়ে-মন মানেতে দেয় যে ধরা-
ভিরমি খাই অবাক হই-কোন আকাশের কোন সে তারা।
জাদুর বশে চুপটি করে-আকাশ ডুবে যাই-
প্রদীপ ঘষা দৈত্য যেন ঝড় টি তোলে তাই।
দোল দুলানি দুলতে থাকি-ছন্দ তালের লহর তুলি-
অবাক হই থামলে আঙ্গুল-দেখতে অবাক কাব্য বুলি।