স্ত্রী ডেঙ্গুতে আকান্ত । বাজার হাট রান্না বান্না ঔষধ পত্র ডাক্তার বৈদ্য ডাক্তা দেখানো রক্ত পরীক্ষা ইত্যাদিতে দিনটা কাটলো । তারি ফাঁকে ফাঁদে আসরে এসে লেখা কবিতা।
ডেঙ্গু-(দুই)


আলু পেয়াজ বেশ ভাজলাম-রুই মাছের ঝোল-
সিঙ্গি মাছের অম্বলেতে দুল দুলানি বোল।
তার আগেতে বাজার গেলাম-অনেক দিন পর-
কেন বুলবুল বাজাস শিস-মুই কি তো পর।
ডেঙ্গু ঘরে তার উপরে থার্মমিটার পাচ্ছি না-
শ দুয়েক গচ্চা গেল-ডিজিটালের জাল জমানা।
একটু পরেই ল্যাবে যাব-রক্ত আবার খানিক নিবে
প্লেটলেট টা কমলো কত আজকে আবার মাপতে হবে।
এই ফাঁকেতে চট করে চল-আসরটাতে ঢুঁ মারি-
খেতে হবে ভাত খাইনি-পেটের মধ্যে চুই চামারি!
তুই বুলবুল বলনা ভাই-পদ্য কখন লিখতে ছড়া-
দুইটি কলি প্রকাশ দিতে-রাত বারোটায় আমার গড়া।
খাওয় হল ঝোলটা ভালই-খেলে দিবি গড়াগড়ি-
আবার শিস-ব্যঙ্গ করিস-রান্না আমি ভালই করি।
লিখছিলাম বেশ ভালই হটাৎ আবার তলব এল-
বাইক বয়ে নিয়ে গেলাম-আবার খানিক রক্ত নিল।
ভাবছি আমি বল বুলবুল রোজই যদি রক্ত নেয়-
সাত দিনেতে তিন পোয়া মোন-মনটা বড় কষ্ট হয়।
প্লেটলেট তো এমনি করে-নিচের দিকে নেমেই যাবে-
তাও ডেঙ্গু জ্বরটা কি-তড়িঘড়ি কমে যাবে।
চল বুলবুল মন্দির যাই-ঘন্টা কাশি চড়াই পূজা-
মায়ের আশিষ নিলেই তবে-ডেঙ্গু জ্বর হবেই কূজা।
ভাবছি এসব এমন সময় রিং টিং টিং ফোন এল-
বড় মেয়ে বলছে আমায়-চলো বাবা খাবে চলো।
আরে বাবা খেলাম তো-আমি তো নই দত্যি দানো-
একটু আগেই খেলাম ভাত-এখন আবার বলছো কেন!
কি জানি কি ঘরেই যাই-মিষ্টি পায়েস হলেও হবে-
এসব জিনিস মালাই মারা-রান্না এসব হলো কবে।
চল বুলবুল চলনা বে-দুচার হাত মেরেই দি-
ডেঙ্গু নিয়ে লেখাঝোকা-আজকে রণে ভঙ্গ দি।


প্রিয় কবি সুমিত্র দত্ত রায় মহাশয়ের আজ প্রকাশিত অনুকাব্য (৬৩) সময়ের গ্রাসে কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ক্ষুরধার


এমনই এখন এ ধরা-রক্তগঙ্গা ভাবলেশহীন ক্ষুরধার-
অশনি চকিতে হানিতে বাড়ি তে-
ভেঙ্গে দিতে ঘরবার।
প্রেমহীন হৃদয়টা আজ বড় হলো মেকি-
তুকতাক ঝুকঝাক-অরন্যে মনোপাখি।
সীমাহীন সংসারে-প্রেম প্রীতি বল নাই-
অসুরের জয়োগান-দিকে দিকে শুনি তাই।
এমনই এখন এ ধরা-রক্তগঙ্গা ভাবলেশহীন ক্ষুরধার-
অশনি চকিতে হানিতে বাড়ি তে-
ভেঙ্গে দিতে ঘরবার।
পূবাকাশে রবি রং-ফালা ফালা আলো ধায়-
ক্ষুরধার মতি তায়-দুখ জ্বালা বয়ে যায়।
জ্যোছনার রং ফিকে-গরলেতে বায়ু বয়-
হিংসায় প্রণালীতে-বুক ভাসে কান্নায়।
এমনই এখন এ ধরা-রক্তগঙ্গা ভাবলেশহীন ক্ষুরধার-
অশনি চকিতে হানিতে বাড়ি তে-
ভেঙ্গে দিতে ঘরবার।


প্রিয় কবি খসা হক মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত বড়ত্বের পতন কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ঝড়


হাঃ হাঃ হাঃ বিধাতা যেন-শুনিলো সে ধ্বনি-
গগনো লহরো আকাশো রাগীলো-
গাহিতে দারুনো রাগিনী।
সে রাগেতে ভূমিতে লুটিলো-
উদ্ধত শির যত-
আহা! সৃষ্টি সৃজনো মাতম মেলায়-
ধ্বংস শত কত।
সু চি শোন ওই অগ্নিবীণায় লিপিত তোর ওই উদ্ধত বীণ-
আসিছে সে ঝড়-তুফানো গতিতে-
করিতে তোরে বিলীন।
মহীরূহ যবে করিলো পরিহাস-তৃনদল ভূমে-
ধরাশায়ি করিতে তাহাদের-
ভৈরব আকাশ চুমে।