দুইটি কলি প্রথম ভাগ পড়া না থাকলে আজকের কবিতা বুঝতে অসুবিধা হতে পারে।
(যারা পাঠ করেন নি স্বল্পকথায় বলে দি। দত্তবাড়ির এক জামাই ঠকবাজি করে বিয়ের দশ দিনের মাথায় সোনাদানা নগদ চুরি করে উধাও হয়েছে। আর এক সুন্দর হবু জামাই যার গর্বে দত্তবাড়িতে উৎসবের মেজাজ চলছিল এক সুন্দরি মেয়ে যাকে সেই ছেলে কোনোসময় ভালোবেসেছিল সে ধর্ণা দিয়ে মিটিং পুলিশ করে তাকে কেড়ে নিয়েছে)


পরিণাম


দত্ত বাড়ির মান সম্মান ধূলায় গেল মিটে-
দত্ত খুড়ো ভাবেন দুখে-বেচেই দেবেন ভিটে।
দিন কয়েকে হলো চুরি-জামাই ঘষে দিল ছুরি-
মেয়ের চোখের কান্না রবে-দুঃখে ভাসে বুড়া বুড়ি।
আরেক জামাই হলো চুরি-বেচাকেনার হাটে-
অনেক দুঃখ দত্তখুড়োর-থাকেন কোন সুখে।
দত্ত খুড়োর ছোট ছেলে-খেলত ফুটবল-
বড় ছেলে চাকরি করে-মস্ত লোক বল।
দুই ছেলেতে ঝগড়া লাগে-নিয়ে বেচাকেনা-
মিষ্টি সুরের বুলি ছোটে-কাব্যে যায়না বোঁনা।
এদিক সেদিক দত্তখুড়ো-ছোটাছুটি করে-
ভাবেন দুই-ছেলেই আপন যে তার-
পুলিশ ডাকেন কেমন করে।
ঝগড়া থেকে তাগড়া সেই-বাহুবল ফোটে-
দত্ত খুড়োর কানের পাশে-বাটাম দিয়ে ঘষে।
দত্ত খুড়ো হটাৎ বাড়ি-খেয়ে হলেন কুপোকাত-
পুলিশ এলো ঝগড়া গেল-দু ছেলেরই হাজত বাস।
দেখতে গেলে দত্ত বাড়ি-দেখবে এখন ফাঁকা-
দত্ত খুড়ো স্বর্গে থাকেন-ভূতের বাড়ি খাঁ খাঁ।


প্রশ্ন


ভাবতে থাকেন দত্ত খুড়ো-স্বর্গে বসে বসে-
শান্তি ভরা ঘরটি তার-কেনই গেল খসে।
পরলো বাড়ি-পুড়লো বাড়ি-রইলো নাকো সুখ-
ছেলের ঘায়েই ছেড়ে ধরা-এমন নরক দুখ।
মারলো তার আপন জনেই-দারুন জ্বালা দুখ-
ভূতের বাড়ি খানি দেখে-কষ্টে ফাটে বুক।
ওই খানেতেই ছোট্ট ছেলে-ভেঙ্গে ছিল পা-
ওই সিঁড়িতেই ওই খানেতেই-তিনি খেয়েছেলেন ঘা।
ভূতের বাড়ি দেখলে এখন-সবাই করে ভয়-
বড় দুঃখ লাগে খুড়োর সবাই দৌড়ায়-
ভগবানের হাত কড়াতে-তিনি এখন ঠুটো-
জীবন কাহন মিথ্যে হলো-কপাল ছিল ফুটো।
এখন খুড়ো স্বর্গ লোকে-প্রশ্ন শুধুই বুকে-
প্রশ্ন এমন জীবন প্রভু-দিলেন কেন এঁকে।


প্রিয় কবি মোবারক হোসেন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত পুতুল বিয়ে কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা লেজ কবিতা।
বলো কবি


হায় রে হায় এমন সময়-
কানমলা কেউ দেয় না কি।
খুকির মা বেশ বেয়দব-
পুতুল বিয়ে করলো মাটি।
তিন বছরের ছোট্ট মেয়ে-
সারাটা দিন পড়াশুনা-
এই বয়সে এত প্রেসার-
একদম না-ভাল্লাগে না।
মা এর দিনে সেই সময়
নার্সারি স্কুল ছিল কি-
হিসেব করে এই কথাটা-
চিন্তা করে বলো কবি।