প্রিয় কবি মোঃ মুসা ইসলাম মহাশয়ের আলোচনা বিভাগে স্বজন বোধহীন অনুভব লেখার উত্তরে লেখা কবিতা।(যদিও বা তার আলোচনাটি ব্যান হয়ে গেছে আলোচনা বিভাগ থেকে কবিতা ফর্মে ছিল বলে বোধ হয়)


মোঃ মুসা ইসলাম মহাশয়ের আলোচনা বিভাগে স্বজন বোধহীন অনুভব আলোচনাতে একটি অনাথ শিশুর আকাশে ধরা শূন্য দুটি চোখ এবং চোখ থেকে উৎসারিত একবিন্দু জলের ছবিটি দেখে কবিতাটি সেখানে উত্তর দিতে গিয়ে কমেন্ট বক্সে লেখা। ছবিটি থাকলে কবিতাটি পরিপূর্ণ হতো।


শপথ


ওই ফোঁটা ওই বিন্দু জলে এক সাগরের দুঃখ বান-
বিন্দু ফোঁটা অশ্রুধারায় হারিয়ে গেলাম গহীন তল।
হৃদয় অনেক কান্না জমে-দুচোখ বহে ধারা-
চোখের তারা অন্ধ হলো-হৃদয় ব্যাকুল করা।
কি পেয়েছি কি-ই বা দিলাম-ওই সাগরের অশ্রুনীড়ে-
এক পৃথিবী এমন যারা-লক্ষ হাজার প্রাণের ভিড়ে।
চোখের তারায় আকাশ যাদের-অনাথ যারা প্রাণ-
শুনতে কি আর তাদের ধরা-কান্না ভেজা গান।
লিখছি অনেক লিখতে পারি-দারুন দারুন কাব্যগাথা-
তাও কি পারি-দিতে পারি!ওদের একটু আশার কথা।
ভাবছি মোরা নিঠুর পরান-মানব জাতি লজ্জা ধরি-
হৃদয় আকাশ পদ্ম কমল-কি নিদারুন গর্ব করি।
দাওনা মাগো পরান মতি-একটু ওদের দাড়াই পাশে-
আস্তাকুরে রাস্তা পথে-বন্দি যারা নাগপাশে।
জীবন আমার নিলেম শপথ-কান্না ওদের নেবই কিনে-
অশ্রুধারা লাগাম টেনে-খুশির তুফান দেবই এনে।
আজ হতে প্রাণ উৎসর্গ-দুচোখ ধারায় বলছি মা-
শক্তি এবং সাহস দিতে-কার্পণ্য করবে না।


প্রিয় কবি নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সেদিন- মনে পড়ছিল খুব" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
প্রিয়তমা


হৃদয় তো পোড়েনি আমার-ব্যাথার অশ্রুতে ভাসে নাই-
তোমাকে নিয়ে উল্লাসে ভেসে ভেসে-
কত না স্বপ্নের দেশে গিয়েছি উড়ে-
বাহুডোরে কতনা এঁকেছি সঙ্গীত-
কালবৈশাখীর প্রবল ঝড়-আছড়ে পরেনি কোনোদিনও-
কালো ঘন মেখ ঢেকে দেয়নি-
জলন্ত সূর্যের গর্বিত চাহুনি।
পারিজাতের নন্দন কাননে বিকশিত তুমি কলি-
স্নিগ্ধ স্বপ্নীল আভা ছড়িয়ে ইন্দ্রলোকের-
অপ্সরা তুমি-সে কলি-
খুলে দিয়েছিলে নীল গগনের পানে-
নীল সূর্যের দেশে-তোমায় জরিয়ে থাকা প্রতিটি পাপড়ি।
অনাঘ্রাত সে ঘ্রাণ-ভেসে গিয়েছিল অন্তর-
দু কূল ভেসে গিয়েছিল হরপা বানের সে জলে-
সঙ্গমে মিলতে চেয়েছিলে যমুনা।
অতৃপ্ত বেদনার রাশি গ্রাস করেছিল অন্তর তোমার-
থমকে গিয়েছিল সে আলোক রস্মি-
ছুতে পারে নাই সে ধরনীর ভূম।
ঝর ঝর ঝর ঝর্ণা রুদ্ধ হয়েছিল প্রবাহ-
বিহঙ্গ কূল ভুলে গিয়েছিল সে মধুর গীত।
আজ সে স্মৃতি রোমন্থনে গর্বিত হৃদয় আমার-
যেথা থাক তুমি প্রিয়তমা-
সুখে থাক ভাল থাক অণুক্ষণ।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত করুণাময়ী মা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মানুষ এবং দেবী উভয়েরই ব্যঙ্গাত্মক আলোচনা হয়েছে এই কবিতায় (যেমন মানব তেমন দেবী) তাই এ কবিতার নামকরন করা হয়েছে তথৈবচ।


হায়রে হায় কান্না পায়-এমন কথা কন কেনো-
যেমন রকম দৃষ্টিকটু-কথার ছলে মন ভুলানো!
হানাহানি কাড়াকাড়ি-মানুষ জাতি তুলতে রব-
শান্তি কেনো ভঙ্গ করেন-তোলেন এমন কলরব।
আমরা মানুষ হার বজ্জাত-বজ্জাতিটা মাওই দিলো-
আসতে গেলে ধরার পাটে-এমন কেনো বন্যা দিলো।
ছলা কলা বুদ্ধি ধরা-সিংঘ বাহন পুষতে চাই-
ধন বলেতে আবির মেখে-ষোল কলায় দোষ নাই।
নিত্য দিন আমরা ভুগি-দিন সাতেকের মহারানী-
দীন দুঃখি মরছে কত-জানতে কি তার হয়রানি।
মা নাকি পাথর শিলা-মাটির ঢেলা স্তুপাকার-
অহং মোরা মানব জাতি-মোদের পূজা নিরাকার।