প্রিয় কবি মৌটুসি মিত্র গুহ (কেতকী) মহাশয়ার আসরে প্রকাশিত "নিজের বলতে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে সেদিন লেখা কবিতা।
প্রেম সঙ্গীত


হৃদয় যেথা ছড়ায় সুবাস-মাদল বাজে প্রাণ-
তুচ্ছ সেথায় ধন মদিরা-
গাইতে সুরের গান।
ও সখী চল দূর গগনে চলনা উড়ে করতে খেলা-
গাইতে সুরের মধুর গীত-
পুঞ্জ শরৎ মেঘের ভেলা।
ধন কোলিন্য থাক না দূরে-সুবাস যদি নাই বা ছড়ায়-
মন মদিনায় তপ্ত লহু-প্রেম ভাবনায়
বাঁচতে ধরায়।
হৃদয় যেথা ছড়ায় সুবাস-মাদল বাজে প্রাণ-
তুচ্ছ সেথায় ধন মদিরা-
গাইতে সুরের গান।
আজকে ধরায় প্রবল অতি-ধন ভাব প্রেম প্রীত-
হিংসা প্রাণে রক্ত ঝরায়-শোণিত সোপান-
কপট গীত।
ধন বার আর বিষয় আসয়-গুপ্ত ছোরা কপট বল-
ভাবনা মেকি হৃদয় পাষাণ-
ভালোবাসা মিথ্যে ছল।
নাই বায়ু নাই শীতল বাতাস-লক্ষ ফণা দিতেই ছোবল-
ধন লভিতে রক্ষ পূত-লক্ষ ব্যথা-
দেয় যে প্রবল।
বিশ্ববিবেক মুদলো আঁখি-মানবতার বিসর্জন-
গরল বায়ু দিক বিদিকে-
পেশীকলার আস্ফালন।
চল সখী চল গড়তে ধরায়-প্রতীক মোরা জ্বালাই সে দ্বীপ-
শান্তি সোপান গড়তে ত্বরায়-ভুবন আলোক-
প্রেম সে গীত।
হৃদয় যেথা ছড়ায় সুবাস-মাদল বাজে প্রাণ-
তুচ্ছ সেথায় ধন মদিরা-
গাইতে সুরের গান।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আমাদে গায়ে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আমাদের শহরে


আমাদের শহরেতে ইমারত মাথা তোলে-
আকাশকে ছুঁতে চায় ঘিঞ্জি সে বহুতলে।
প্রভাতের কথাকলি প্যাঁ প্যাঁ রবে সুর তুলি-
সারি সারি বাসগুলি ছুটে চলে অলিগলি।


মোড়ে মোড়ে থেমে থেমে-ছেলেমেয়ে তোলে বাসে-
কাঁধে বাঁধা ব্যাগগুলি কেজি কজি বই ঠেসে।
ঊষাকালে ঠেলাগাড়ি সবজির ছড়াছড়ি-
হাঁক দিয়ে ঘুরে ফিরে পাড়া পাড়া বাড়ি বাড়ি।


বেলা হলে কোলাহলে-গাড়ি ঘোড়া চাকা জ্যাম-
ফুটেতে হকার রাজ-পদচারী সেথা চলে-হাতে নিয়ে মহাপ্রাণ।
চিৎকার কোলাহল গাড়িঘোড়া কালো ধোঁয়া-হকারের হাঁকডাকে-
নিত্য সে দু প্রহরে কর্ন সে ঝালাপালা-জীবনটা হাঁসফেঁসে।


প্রভাত ও সাঁজবেলা-মানুষ সে হেঁটে চলে-
পথে ঘাটে ময়দানে-কেউ কেউ ছুটে চলে।
শর্করা মেদভারী-মধুমেয় পেশীটান-আরো কিছু নানাবিধ-
ঔষধ ডাক্তার পথ্যের কড়াকড়ি-কৌশল বহুবিধ।


রাত বাড়ে ভিড় বাড়ে-গান আর নাচানাচি
পানশালা ডিস্কোতে পান আর গান চলে-বাবু কন ফাঁটাফাঁটি।
ফুরফুরে টাকা ওড়ে-নগ্ন সে প্রেম প্রীতি-
ঘন রাতে বাড়ি ফিরে-কিস্যা সে ঘন অতি।


আমাদের শহরেতে-বুলবুলি ঘোরে ফেরে-
টাকা দিলে প্রেম প্রীতি-শিস বাঁজে জোরে জোরে।
দূরে দূরে শিবিরেতে-ঘন্টাতে বাঁশি বাজে-
ধন গুজে পকেটেতে-বাবু যান মাঝে মাঝে।


আরো আছে বহুবিধ-নানাবিধ উপাচায়-
অদ্য জোড় করে-সমাপিত সমাচার। জয়গুরু।


প্রিয় কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়ার আসরে প্রকাশিত "বৌদির মুখের ফুলঝুরি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে সেদিন লেখা কবিতা।
পাঁচালি


তাও তো রাঁধে-স্বাদ যদি নাই বা হলো-
রান্না করা কি ঝক্কি-কবি তুমি-
নিজেই বলো।
একটি বার যাও হেসেলে-খুন্তি দাও কড়াই নিয়ে-
সবজি গুলি আলু পেঁয়াজ-ঝক্কি কেমন-
কাঁটতে গিয়ে-
বুঝবে বাছা কেমন বাঁচা-সাধের ব্যঞ্জ রাঁধতে গিয়ে।
বসিয়ে কড়াই গ্যাসের ওপর-তপ্ত গরম-শরীর হবে-
নাড়া নাড়ি করতে গিয়ে-দেখবে কেমন-
কান্না পাবে।
টপটপিয়ে পরবে ঘাম-আঁচল দিয়ে ঘষাঘষি-
দুচার দিন করলে তুমি-ধরবে করা রেষারেষি।
আদা জিরা লঙ্কা ফোরণ-হাঁচ হেঁচিয়ে হ্যাচ্চো দেবে-
দুচার দিন হেঁসেল গেলে-ভুল নেই ভাই-
অক্কা পাবে।
তাই বলি কি একটু বড়াই-না হয় হলো-
ফাঁক ফোঁকরে গল্প গুলো-
একটু না হয় বেশিই দিল।
তাতে কি আর আসে যায়-বলেই যদি
তার বাসায়।
বাপের ঘরের গল্পবুলি-বলেই যদি-
জিব তুলি-
সমঝে চলো সমঝে চলো-নইলে হেঁসেল বন্ধ হলো।
তখন তোমার গলদ ঘর্ম-কানবে তুমি সুরটি তুলি-
তাই বলি কি-তাই বলি কি-
বন্ধ করো এই পাঁচালি।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ধনীর জ্বালা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
ওপেন হার্ট


আঃহারে কি কষ্ট আহারে-নয়নেতে এলো বারি-
শর্করা মধুমেয় রাশি রাশি মেদভারী।
ওঃহো-রে বাছা বাছা খানা চাই-চিনি ছাড়া চা-টা-
আহাঃ আহাঃ বাবু কন-
বেশীদিন যাবে বাঁচা।
হরিবোল হরিবোল-ধন বাড়ি গাড়ি চার-সোনা দানা হিরে মোতি-
ওহোঃ ওহোঃ-প্রভু কেন দিলে মধুমেয়-
কি করুণ দুর্গতি!
বাবারে বাবাঃ কোলেস্টেরল! ট্রাইগ্লিসারাইড পাঁচশো সাইট-
ডাক্তার আর বদ্যি বেঁটে-করেন বাবু
দারুন ফাইট।
একটা ভালব বন্ধ হার্টে-বাই পাশেতে যেতে শেষে-
কবি তোমার কাজ নাই কি-বলছো কি সব-
ছাঁইপেশে।
গরীব ওরা ওদের তো নাই রাজার অসুখ তাইতো খাঁসা-
খাওয়াই নাই তো ধরবে কেমন-
ধরতে শরীর রোগের বাসা।
রক্ত শুষে ধন গড়েছি-চিন্তা আমার বালাই ষাট-
দিল্লি যাব বম্বে যাব-করতে আমার-
ওপেন হার্ট।
বুঝলেন ঠ্যালা কত্তা।