রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো "দুঃসময়"
"দুঃসময়"


উছলি আলোক দিবাকর ঢলে দিগন্ত কিনারেতে
ধীরে ধীরে আলো যায়
কালোছায়ে মিনারেতে।
করালতা ধ্বনিরব ঘনায় সে কালোমেঘ
জলরাশি অম্বুদ
মৃগাঙ্ক আঁখি মুদে জলদ সে বারিকণা
সিঞ্চিত বুব্দুদ।
মণিকণা নীহারিকা নভ সে তো জাগে নাই
করাল সে গ্রাসে বিভা-
আলো প্রভা দ্যুত্যি নাই।
ওরে পাখি ডানা মেলা নীড় ভুলে যাস নাতো
পুনঃ সে উদিবে রবি তুমুল সে বারিধারা
শশাঙ্ক জ্যোছনাত।
চলাচল বায়ু নাই চরাচর মরু সম
তরু লতা প্রাণ নাই;
বালিকার রাশি ধূ ধূ-সুদূরেতে কিনারেতে
সুর ধ্বনি গান নাই।
অনন্ত ঘন কালো দশ দিশা কাড়ে আলো
মর্মর ধরা তান;
রক্ষ সে প্রাণ হরা খা খা ররে উদয়িত
লাঞ্ছনা প্রহারেতে
ঘিরে প্রাণ শয়তান।
ওরে পাখি ডানা মেলা নীড় ভুলে যাস নাতো
পুনঃ সে উদিবে রবি তুমুল সে বারিধারা
শশাঙ্ক জ্যোছনাত।


১৯৯০ সনে লেখা একটি কবিতা আজ প্রকাশ দিলাম।
বেহিসেবী


হিসাবের ঝুলি আমি,
আমার ডায়েরির সমস্ত পাতা-
হিসাবে হিসাবে ভরা।
তবুও লোকে বলে আমি বেহিসাবী।


বেহিসাবী কিনা জানিনা,
হিসাবের জ্বাল আমি বুনিনা।
কি হবে জীবনে হিসেব করে,
কি হবে ছোট্ট এ সুন্দর জীবন,
হিসেবে হিসেবে ভরে ভরে।


পৃথিবীর এ প্রাণের বন্যায়,
হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ-
অনাহারে ভরা প্রাণ,
কোটি কোটি উলঙ্গ অপুষ্টিতে ভরা শিশু
কত শত প্রাণ অকালে ঝরে যায়-
সুন্দর এ পৃথিবী হতে,
কে তার হিসেব রাখে?


কতশত প্রাণ উন্মুক্ত আকাশের তলে
শীতল হাওয়ায় ঠকঠকানির জ্বাল বোনে,
আবার কতনা ধনপতি কুবেরের দল
ধনের হিসেবে ক্লান্ত ঘামের বন্যা আনে।


বেহিসাবী আমি ঠিক,
হিসেব রাখিনা টাকা পয়সায়,
ধন জমানোর স্বভাব নেই আমার কিন্তু-
এ দুঃখের হিসেব কে রাখে?


কালোবাজারের কালো টাকা
কালো চার দেওয়ালের আড়ালে ঢাকা;
হাজার হাজার শুখনো মুখ
দুবেলা রুটির স্বপ্ন দেখে।


আমি শুনেছি এ পৃথিবীর দুঃখের কথা,
বসুন্ধরার দুঃখ শুনেছি কান পেতে;
যদিও দুচোখ জলে ভরে গেছে,
শক্ত হয়েছে চোয়াল আমার-
হৃদয় দুলেছে অমর প্রতিজ্ঞাতে।


এ ব্যথার হিসেব রেখেছি আমি,
এঁকেছি বিষাদ দুঃখের ছবি মনের মাঝে,
স্বপ্ন দেখেছি এক সুন্দর পৃথিবীর-
কোটি প্রাণ করবে বিচার আমার হিসাবের।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "উপায় বিহীন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
প্রশ্ন


জন্মে এদেশে ব্যথিত হৃদয়ে প্রশ্ন বিধাতারে
কি রোষেতে ঢালিতে অনল
দ্বারে দ্বারে বারে বারে।
যেথা মৃত্যুর হুঙ্কার পলে পলে উড়ায় ধ্বজা
যেথায় মানীর নেইকো কোনো মান
জাতি দ্বেষ বিদ্বেষ-
নাই নাই নাই-দেশ বলি দিতে লজ্জা।
পাষানো সে বেদি গড়া নাই দিশা নাই কাজ
কুচো যুগো শোভিত-বুকে ধরে ভগবতি-
ভারতি আশাহত আজ।
হাহাকার ধ্বনিরব ভাসিতে গগন তল
বিদ্যা সে ঝুড়ি ঝুড়ি
কর্ম সে খল হাসে জীবন অচল।
জন্মে এদেশে ব্যথিত হৃদয়ে প্রশ্ন বিধাতারে
কি রোষেতে ঢালিতে অনল
দ্বারে দ্বারে বারে বারে।


প্রিয় কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়ার আসরে প্রকাশিত ট্রেনিং কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।(ফাউ কবিতা)
দিদিমুনি


হিতায় খানি কবিতাটা
পরান গেল জ্বলিয়া
তুক তাক বাণ কন কত্তা
হিতায় আসর আইয়া।


হেনায় ফেনায় হত্তগোলে
হায় হায় রব হুনি
ইমন তেমন কও ক্যান রে
তুনি দিদিমুনি।


হত্তগোলের পাগলা হাটে
ইতি উতি ভাগতে চলি
হুনায় তুনি ধিক ধিক ধিক
কাব্য রসের সুধা বুলি।


হরকার কয় পাস ফেল নাই
কিতায় ধরি বই
হাওস আসে ফেলতা দিতে
গুড়ে মাথাই খই।