রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো "পরিচয়"।
"পরিচয়"


এসেছিনু একদিন পারাবার উছলিত তরঙ্গ লহরেতে
বহু আশা ভাসা ভাসা
ছিল কথা বহু বুকে।
কুসুমকান্তি কোমল হৃদয়-বইছিল তরীখানি
দিগন্তে আঁখি পাতি
সুদূরের হাতছানি।
কোকিলো কন্ঠি মণিহার গলে এলো সে তরুণী
এলোকেশে বলে হেসে-
দেহ তব পরিচয়খানি।
লুব্ধ লোচনে দৃষ্টি হরণে বদনো হেরিনু তাহে
প্রদাহিত তপ্ত হৃদয় শান্ত ধ্বনিরব
সে প্রশান্ত প্রদাহে।
স্তব্ধ রহিয়া সুবাস সে ঘ্রাণ সাগর দেখিনু আঁখি
পরিচয়! পরিচয় কিবা দিব-
তোহারি অতিথি।
দিনে দিনে ঘন হৃদয় জুড়িল বক্ষে লহিয়া টানি
শত চুম্বনে তরিৎ খেলে বুকে
পরিচয় খানি।
সাগরো লহর ফেনিলো বুকে সঙ্গমে মিলন গীতি
জায়া মোর পরাণ জুড়িল-
সে দিনের পরিচিতি।


প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "প্রতিবাদ-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আহুতি


আগুন লেগেছে মনে সে দারুনো আঘাতে
ঝঞ্ঝার রূপ ধায় মন
আজি এ প্রভাতে।
জঞ্জির ছিড়ে যায় প্রবল সে ঝঞ্জার গতি
হে জোয়ান হও আগুয়ান-
দিতে চলো আহুতি।
দিকে দিকে গরলেতে ভ্রষ্ট সে প্রাণ গুলি
মানবতা কুঁড়ে খায়
দিকে দিকে চোরা গলি।
নিঠুর পাষাণ মন হৃদ ভরা বিষ ভাপ
আজিকে হে জোয়ান-হ রে আগুয়ান
চোয়ালে চোয়ালে চাপ।
রুদ্ধ দ্বারেতে মারিতে সে লাথ-ভেঙ্গে দিতে চুর চুর
ঘন ধরা কশাঘাতে-হে জোয়ান সবে
হাতে ধরে বিদ্যুৎ।
চকিতো সে ঘাতে আজিকে প্রভাতে শিরদাঁড়া টানটান
হে জোয়ান রক্তে আগুন ছুটিছে
মেনে নিবি শত অপমান?
আজিকে ডাকিছে ধরা-দুচোখেতে ধারা বয়-
হে জোয়ান ব্যথা কি জাগে না হৃদে
রইবি কি অব্যয়?
বাহুতে তোদের শক্তি অপার ভক্তি কি নাই এতটুক
হে জোয়ান বাঁধ যে ভেঙ্গেছে
মরমে কাঁদিছে বুক।
আজিকে প্রভাতে মর্মর প্রাণ-জাগাতে পাষাণ বেদি
হে জোয়ান হলি কি আগুয়ান
হুঙ্কারে আকাশ ভেদি।


প্রিয় কবি মুহাম্মদ জে. এইচ (রপ্পি)-উদাসী ও রেঁনেসা (কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত হায় রে মানুষ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
পাপের ঝুলি


হায়রে মানুষ উড়াও ফানুস মিথ্যে পাপের ঝুলি
বইতে জীবন করন কারন ঝরাও মিখ্যে বুলি।
পাপ পূণ্য থোরাই কেয়ার দম্ভ ধর বুকে
গরীব মেরে মদ মদিরায় রইতে অনেক সুখে।
বইতে বাতাস ধরতে আকাশ ফানুস ওড়াও কত
চৌদিকেতে গরল বাতাস-মরছে মানুষ শত।
কি ধন তোমার কোথায় পেলে-বলতে তুমি পারো?
লক্ষ কোটি ধন জমানো-বাটি অনেক বড়।
শূন্য তুমি আসলে ধরায়-শূন্য হাতে যাবে
শোষন আর বঞ্চনার-সেথায় হিসেব পাবে।
পাপের ধনে ধরতে ধরা-দীন দুঃখী দলতে চলো
অহঙ্কার আর দম্ভ ভরে-আকাশ উঁচু অনেক বলো।
হৃদ কি নাই হৃদয় তোমার-প্রাণ কি কাঁদে না?
আপন পরম হলেই ক্ষতি-বুঝতে পার না!
আপন বলয় বুঝলে তুমি-পর কে কেন বোঝ না
এমন তেমন মন্দ মতি-এক পৃথিবীর কান্না।
দোহাই তোমায় অনেক হলো-বুঝতে এবার শেখো
মনের মানুষ ধরতে ধরা-হৃদয় দিয়ে মেশো।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "গাঁয়ের মাজে হাট বসেছে কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
নিউ মার্কেট


নিউ মার্কেট মোদের শহর ভিড়ে ঠাসাঠাসি
হংকং তার মধ্যিখানে-চায়না বাজায় বাঁশি।
হংকং সেই মার্কেটেতে-মালগুলি সব বিদেশ হতে
গুগুল গেলে খুজতে পাবে শিলিগুড়ির বোল ফোঁটে।


একটু আগে এগিয়ে গেলে শেঠ শ্রীলাল মার্কেটেতে
তাক দেখানো ফুচকা বড়-দশ টাকাতে চারটা পেতে।
মোমোগলি আছে সেথায়-সারি সারি দোকান মোমো
সুবাস ধরা সুঘ্রানেতে-সেথায় বাতাস করছে ম ম।


হিল নেপালি ছোট্ট ড্রেসে হার কাঁপানো দৃষ্টি দারুন
ইচ্ছে হবে একটু ছুঁতে-লাগতে সে মন ভীষণ করুণ।
হরেক রকম পাক পাখালী-ডালায় ভরা চমচমানী
চাইনিজ আর জাপানিজে-নয়কো এমন তেমন দামী।


হাতের ঘড়ি আশি টাকা ক্যালকুলেটার একশো বিশ
গবেট হবে ডাবল নেবে-দারুন ওরা চারশো বিশ।
ভিন দেশের আম আদমি-সেথায় গেলেই বুদ্ধু হয়
ডাবল দামে জিনিস কিনে-অনেক টাকার নয় ছয়।


রাতের আলোয় জমজমানি-ছাপকা মারা জড়ো হয়
মিষ্টি মধুর বদনেতে-অনেক টাকায় বিকে যায়।
হাল হকিকত নিজের চোখে-দেখতে যদি বন্ধু চাও
হই হল্লা দলবলেতে-শিলিগুড়িতে জড়ো হও।