রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ আবার রচিত হলো "অনন্ত জীবন"
"অনন্ত জীবন"


মনেরো হরষে দিবা নিশি প্রাতে করিনু স্মরণ
মহাকাল মহাস্রোতে সতত করি বিচরণ।
যেথা কাল গতি পায় অনন্ত স্রোত বহে
চিনি নাই চিনি নাই চিনি নাই আপনেরে।
কে আছে ঘরেতে কে আছে বাহিরেতে  
কে আছে ছবি এঁকে হৃদ মাঝারেতে-
ভেসে যাবে সবে মিলিতে সে স্রোতে
মহাপ্রাণে ঝর্ণাতে সে মহাকালে প্রবাহতে।
কভু হেসে উঠি সুখে কভু কান্নার রোল তুলি
না পাওয়ার বেদনাতে শোরগোল প্রাণে ভুলি।
বুলবুলি ছুলবুল চুলবুল কথা কলি
প্রত্যহ দিবা রাতি কবিতাতে লিখে চলি।
ভাবি মন অজ্ঞান কালে কাল ভেসে যাব
কবিতার সুরগুলি সেথা কিবা আর পাব।
সিন্ধুর বিন্দুতে জল কণা বারি ভাসে
নদী প্রাণ উচ্ছল ভাবি আমি মনোকাশে।
নিখিলেতে মিলে যায় সিন্ধুর বারি রেখা
ধরাতলে রচে যায় জীবনের ইতিকথা।


শৈশব বাল্যেতে ভাসি মন প্রাণ ভুলি
কালস্রোতে ভেসে যায় আনন্দ দিনগুলি।
পিতা মাতা স্বর্গীয় কালে কালে গতি পায়
ভাবি মন করেছিনু-কত শত অন্যায়।
হৃদ প্রাণে বোধ আসে অনন্তে মিলে যাব
কাল যবে হাতছানি-কাছে কি-বা আর পাব।
বিষয় আর আসয়েতে-মিলি প্রাণ দ্বেষ ঢুলি
মন চায় আরো কিছু-কেড়ে নিতে সুখগুলি।
মায়া মায়া জগতের-আসলেতে বুঝি নাই
রাগ ক্ষোভে ফেটে পরি-করি কত অন্যায়।
ডাক পেলে পল নাই-মহাসিন্ধুর ওই পার
সাথে কিছু যাবে নাকো-রবে শুধু অন্তর।


তাই ডাকি ওরে ভাই-কেন ওরে দ্বেষ দ্বার
ঘন কালো মেঘ কেন-দ্বারে ঘোরে বারে বার।
মহাকাল বয়ে যাবে কণা পল জীবনটা
হেসে খেলে গেয়ে যেতে কোরো নাকো ভুলটা।
ক্ষীর ননী খেয়ে চল তিতা মিঠা তাও খেতে
সুখে দুখে মিলে মিশে-অনন্ত প্রাণ গীতে।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গাঁয়ে আছে তালগাছ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা। উনি সন্ধ্যা অবধি লিখেছিলেন। তার পর থেকে ঘুমানো অবধি আমি লিখে দিলাম।
আলোছায়ে


ধীরে ধীরে আলোছায়ে-আলো হটে পিছে যায়-
চাঁদ তারা নিরবধি-টিমটিমে আলো দেয়।
বিহঙ্গ কূলে ডানা-ঝাঁকে ঝাঁকে ফেরে নীড়ে
রাখাল গরুর পাল-ফিরে ঘরে ধীরে ধীরে।


আলপথে আঁকাবাঁকা-সাইকেল ক্রিং ক্রিং
গরুগুলি জর্সির-খাড়া খাড়া বড় শিং।
বড় কানে ছোট রব-যেন কোনো ঢোকে নাই
ধ্যুতেরি রব ওঠে-পথ ছাড়াছাড়ি নাই।


কলসেতে কাঁখে বঁধু-ঝুম ঝুম নুপূরেতে
ছন্দেতে বয়ে চলে-অজয়ের ঘাট হতে।
মন্দিরে ঢং ঢং-ঘন্টা সে বেজে ওঠে
হরিবোল হরিবোল-রব দিয়ে বাতাসাতে।


ঠুক ঠুক লাঠি ভরে-ঠাকুমা সে ধীর গতি
মন্দির পানে চলে-সাথে চলে পার্বতি।
রাত বাড়ে ঘরে ফেরা-খাওয়া নাওয়া সাঙ্গ
ঘুম দেশে ধুম চলে-শান্ত সে তরঙ্গ।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নোট বন্দি-৯ব্যং)-৪৩ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
তুখলখী


মহম্মদ বিন তুখলখ ইতিহাস বিখ্যাত এলো স্মরণ
পাগল মতি মহারাজা দিল্লি করিল
দৌলতাবাদে স্থানান্তর করন।
বৃদ্ধ প্রজা তার গলায় দড়ি-হেঁচরে টেনে নিয়ে যায়
হায়রে হায়রে হায়-নোট বন্দি
সেই আমলে মন ধায়।
মহান তিনি মহারাজ-দেশ মন্দায় মন্দায় জর্জরিত
কালো টাকা উদ্ধারেতে-
সমুচ্চা নোট করিলেন ধ্বংস।
মূর্খামি শেষ নাই-নাটকের ভেষে তাই বক্তিতা অবিরল
আট হাজার কোটি টাকা ক্ষতি দেশের-
তিনি রন অবিচল।
যেন নিজ ভাবনাই-তার উঁচু কিছু নাই বিঞ্জ সে মহা সাধু
নাক উঁচু নচ্ছার-নাই তিনি কারো পিছু-
কিছুতেই নন কাবু।
তোলপার ঘোলপার তার দেশে অবিরত-
কালে কালে ভেবে ভেবে-
বলে চলো কথা মত।
পাগড়িতে বেঁধে লাল মোচে তা দেন শাণ-
পাবলিক ছুটে মরে-
গাদা গাদা টেনশন।
গ্যাস নিতে হয়রান-আঁধারেতে গোল-
বাজারেতে গেলে পরে-
চোখ গোল গোল।
শালা! দশলাখি গায়ে দিয়ে-হাওয়া তেই ভেষে রন
নিত্য সে দুই বেলা-
পাবলিক করে রণ।
আহা! আহা! কি মজা কি মজা ২০২২ এতে
ধিন ধিন নাচে মন-
দেশ যাবে স্বর্গেতে।


প্রিয় কবি সুদীপ কুমার ঘোষ (চোখেরবালি) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
হাঁদা


সুখের পর দুঃখ আসে দুখের পর সুখ
উভয় বরণ মাথা পেতে-
নাইকো অসুখ।
কান্না দিয়ে জীবন ভরা-হাসতে তবু বাধা
বাধ ভাঙ্গা এই জীবনপথে-
যারা কাঁদে হাঁদা।
হাঁদাই হবে ছিচকাঁদুনে-শক্তি সবল নয়কো তারা
কেউ দেবেনা কেউ দেবেনা-
থালটি মুখে ভাতটি বাড়া।
জীবন কঠিন দুর্গম পথ-দিতেই যদি পাড়ি-
বুদ্ধি ও শ্রম-বিবেক আগে-
বইতে হবে তরী।
বৈঠাখানি শক্ত হাতে-ধরতে যদি হাল-
ঝড় ঝঞ্ঝা পাড় হতে ভাই-
জীবন লহর তাল।
তাল গোলেতে টালমালেতে-বৈঠা গেলে খসে-
কান্না করুণ কি নিদারুণ-
হাপুস নয়ন বসে।
তাই কেঁদোনা বলছি ভায়া-দুখের জীবন ধরতে সুখে-
জীবন গড়া মানতে ভাল-
সুখ ও দারুন ঝঞ্ঝা দুখে।